দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত অনুষ্ঠান এই সময়ের মধ্যে গোটা দেশের জনজীবনকে দারুন ভাবে আলোড়িত করছে। ধীরে ধীরে এই মন কি বাত অনুষ্ঠান রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে একটা নিজস্বতা যে তৈরি করছে তার দৃষ্টান্ত আজ স্থাপিত হলো কল্যাণপুরে। সমাজের পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত, অবহেলিত বা যাদেরকে আমরা অনাথ হিসেবে অনেক সময় চিনে থাকি তাদেরকে ভর করে, তাদেরকে ভিত্তি করে, তাদের জন্য ভাবিত হয়ে কল্যাণপুরের উৎসর্গ সামাজিক সংস্থা তাদের পথ চলা শুরু করেছে। এই সংস্থা সীমিত আর্থিক এবং পরিকাঠামগত অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখছে পথশিশু থেকে শুরু করে যে সমস্ত শিশুদের সহায় সম্বল নেই তাদের সামনে, তাদের পাশে অবলম্বন হয়ে থেকে যেতে। ইতিমধ্যে প্রচারের আলোতে না আসা এই সামাজিক সংস্থা বেশ কিছু পথ শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের বঞ্চিত, অবহেলিত, শিশুদেরকে সমাজের মধ্যে বাঁচার রসদ পাইয়ে দিতে গুটি গুটি পায়ে পথ চলাও শুরু করেছে। এই উৎসর্গ সামাজিক সংস্থাকে যারা বর্তমানে অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন, সেই ছোট ছোট শিশু সহ উৎসর্গ সামাজিক সংস্থার কর্ণধার পীযুষ রায় আজ কল্যাণপুরে মন কি বাত কার্যক্রম যাতে করে সাধারণ মানুষ আরো আরো বেশি করে দেখেন সেই বার্তা নিয়ে হাজির। উৎসর্গ সামাজিক সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হয় নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান মানেই হচ্ছে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা, তাদের দাবি মন কি বাত মানেই হচ্ছে বাধাকে পেছনে ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস হাতে নেওয়া। উৎসর্গ সামাজিক সংস্থার সাথে জড়ানোর আগে যে সমস্ত শিশুদের পরিচয় ছিল কেউবা পথ শিশু, কেউ পিতৃহীন, মাতৃহীন। অনেক ক্ষেত্রে রাস্তায় অযত্নে লালিত হওয়া শিশুরা আজকে সম্মিলিতভাবে কল্যাণপুর তথা দেশের মানুষের কাছে মন কি বাত অনুষ্ঠান বেশি বেশি করে উপভোগ করে দেশকে তথা জাতিকে সমৃদ্ধ করার আবেদন রাখলেন। রবিবাসরীয় কল্যাণপুরের সকালটা আজ সত্যিই আবেগ তাড়িত সকাল হিসেবে পরিগণিত হল যখন একদল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সমস্ত অংশের কাছে বিনম্রভাবে আবেদন করছে প্রধানমন্ত্রীর ১০০ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে সার্বিকভাবে শামিল হওয়ার জন্য। আগামী দিনের ক্রম জটিল ব্যবস্থায় উৎসর্গ সামাজিক ব্যবস্থা কতটুকু লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারবে, উৎসর্গ সামাজিক সংস্থাকে অবলম্বন করে আগামী দিনে সমাজ কতটুকু নতুন আলোর সন্ধান পাবে তা হয়তো সময় বলবে, তবে আজকে সমাজ সচেতন উৎসর্গ সামাজিক সংস্থার এই ভূমিকা নিঃসন্দেহে অন্যবার্তা বহন করল।।



