একশো কুড়ি বছরের পুরনো স্কুলটি দেখতে তেতাল্লিশ বছর পর স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলটি পরিদর্শন করে গেলেন। স্কুলের সেইসময়কার প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা রাজ্য তথা বহিঃরাজ্যে কিংবা দেশের বাইরে সু-সন্মানের সহিত কাজ করে আজ ওদের মধ্যে এক দুই জন বাদ দিয়ে প্রায়ই অবসরে চলে গেছেন। উনারা অনেক বছর কৈলাসহরে বসবাস করেছিলেন। সাংস্কৃতিক শহর কৈলাসহরকে উনারা আজও ভুলতে পারেননি। সাম্প্রতিক কালে উনারা কৈলাসহরের এসেছিলেন। উনারা সবাই কৈলাসহরের রাধাকিশোর ইনস্টিট্যুশনে পড়াশোনা করেছিলেন। উনারা সবাই ১৯৭৮সালের বিজ্ঞান ব্যাচের ছিলেন। স্কুলের সেইসময়কার শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান করা, তেতাল্লিশ বছর পর স্কুলটি কেমন রয়েছে তা সরজমিনে পরখ করা এবং পুরনো শহরকে নিজের মতো করে দেখা। মুলত এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই উনারা সাম্প্রতিক কালে কৈলাসহরের এসেছিলেন। সাম্প্রতিক কালে ১৯৭৮সালের বিজ্ঞান ব্যাচের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের এই পরিদর্শন দলে সামিল ছিলেন রাজ্যের বরিস্ট সাংবাদিক তথা পি.আইয়ের ব্যুরো চিফ জয়ন্ত ভট্টাচার্য, প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সব্যসাচী ভট্টাচার্য, রাজ্য বন দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ আধিকারিক নিরোদ দেবনাথ, কৃষি দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপু পাল,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সজল দেব, পাঞ্জান ন্যাশনাল ব্যাংকের দুই আধিকারিক পিত্যেস দাশগুপ্ত, পিন্টু দাশগুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক সঞ্জিত ত্রিপুরা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শ্বাশতী আচার্যী, পাপড়ি সিংহ চৌধুরী, শ্যামলী শর্মা, অপর্ণা গোস্বামী, তুস্টি ভট্টাচার্য,তন্দ্রা সেন দাশ,সুপ্তা দেব, অন্নপূর্ণা দেবনাথ, কৃষি দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক পদ্মনভা ধর সহ আরও অন্যান্যরা। উনারা প্রথমেই নিজেদের স্কুলে অর্থাৎ রাধাকিশোর ইনস্টিট্যুশনে স্কুলটি ঘুরে দেখে স্কুলের স্টাফ রুমে বসে স্কুলের বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকাদের আলোচনায় বসে স্কুলের পুরনো স্মৃতিচারন করেন। প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের পেয়ে স্কুলের বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকারাও অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেন। স্কুল পরিদর্শন শেষে স্কুলের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলের সেইসময়কার শিক্ষক সুশীল ঘোষ এবং প্রদীপ পালকে সংবর্ধিত করেন। এই দুই শিক্ষক ছাড়াও সেইসময়কার আরো অনেক শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করলেও অসুস্থতার জন্য এবং বয়সের ভারে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা আসতে পারেন নি বলে জানান প্রাক্তন ছাত্র তথা রাজ্য বন দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ আধিকারিক নিরোদ দেবনাথ। স্কুলের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা একসাথে সবাই এসে স্কুলের সেইসময়কার শিক্ষকদের সংবর্ধিত করতে পেরে এবং তেতাল্লিশ বছর পর স্কুলটি দেখার পর এবং পুরনো শহরকে নিজের মতো করে দেখতে সকলেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন বলে জানান স্কুলের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র তথা রাজ্যের বরিস্ট সাংবাদিক পি.টি.আইয়ের ব্যুরো চিফ জয়ন্ত ভট্টাচার্য
Byte- জয়ন্ত ভট্টাচার্য।