সদলীয় অন্তরঘাতেই পরাজিত হয়েছেন কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির মনোনীত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির পরাজয় কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকরা। জানা গেছে দলের ওই নেতাকর্মীদের দাঁড়াই পরাজিত হতে হয়েছে বক্সনগর কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন কে।বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বরা যারা তলে তলে ভোট কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপির সক্রিয় কর্মী সমর্থকরা। যেকোনো সময় গণধোলাই খেতে পারে এই রাঘববোয়াল রা। অভিযোগ বিজেপির যুব মোর্চাকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকজন লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেছে বাঁকা পথে। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য তাদের কারণেই পরাজিত হয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন।তাই দোষীদের আর ছাড়া হবে না। এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর কিছুদিনের মধ্যেই কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের যুব মোর্চা মন্ডল সভাপতি মাইনোরিটি মোর্চা সহ অসংখ্য পদ বদল করা হবে। অভিযোগ উঠছে বিজেপির তরফ থেকে প্রত্যেকটি বুথ সভাপতি কে এবং বিজেপির মাঝারি নেতৃত্বকে নির্বাচনী খরচ চালানোর জন্য ফান্ড পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ নির্বাচনী ফান্ড গিলে খেয়েছে বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় নির্বাচনী খরচের জন্য দেওয়ার টাকাও, লুটপাট করে খেয়েছে নেতৃত্বরা। এইভাবে বক্সনগর কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল কয়েকজন। তাদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়ে গেছে। দলে থেকে দলের এত বড় ক্ষতি এটা কোনমতেই মেনে নিতে পারছে না বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী থেকে নেতৃত্বরা । সূত্রে খবর বিজেপির যুব মোর্চার বেশ কয়েকজন নেতা বিজেপি দলে থেকে সিপিআইএম নেতৃত্বদের সাথে গোপনে আঁতাত রেখেছিল। যাতে দুই নৌকায় পা রেখে দুই দলের ঐ সুযোগ ভোগ করতে পারে।এমনকি বিজেপির প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকে অতি সহজে পরাজিত করা যায়। এর কারণ হলো বক্সনগর কেন্দ্র থেকে আরও কয়েকজন প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দল ওদেরকে টিকিট দেয়নি। এই দুষ্টচক্রের কারণেই বিজেপির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন মাত্র 4,631 ভোটে সিপিআইএম প্রার্থী শামসুল হকের নিকট পরাজিত হয়েছেন।জানা গেছে সাবরুম, বাধারঘাট ,বর্জলা ,বামুটিয়া ,সহ বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে মন্ডল সভাপতি, যুব মোর্চার সভাপতি বদলের সম্ভাবনা রয়েছে । বিজেপির রাজ্য নেতা দের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ সম্পূর্ণ করা হয়ে গেছে। এখন দলের সংগঠনকে বিস্তারের লক্ষ্যে এবং সংগঠনকে মজবুত করার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলছে বলে খবর। সাবরুমে এক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন মন্ডল সভাপতি এবং যুব মোর্চার সভাপতিকে শুধু পদ থেকে সরানো নয়, দল থেকেও বহিষ্কার করা হতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। গতকাল সাবরুমে এক সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন দলে গদ্দার খোঁজার কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন কথায় গোটা রাজ্য হতভম্ব হয়ে পড়েন । জানা গেছে দীর্ঘ অনেক বছর ধরেই কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে নিজ দলে থেকেই দলের ক্ষতির কারণে বক্সনগর কেন্দ্রে জয়ী হতে পারছে না, সিপিআইএম ছাড়া অন্য কোন দল। বরাবরই কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি বামের দখলে চলে যাচ্ছে। বক্সনগরে যারা তলে তোলে ভোট কেটেছে যুব মোর্চার কয়েকজন কর্মীকেও চিহ্নিত করে সাসিয়েছেন দলের একনিষ্ঠ কার্যকর্তারা। জানা গেছে দুই মার্চ ফল ঘোষণা হওয়ার পর ,দল বিরোধী কাজের জন্য মধ্য বক্সনগর এলাকার যুব মোর্চার এক কর্মী হৃদয় মিয়াকে মারদোর করেন বিজেপির একনিষ্ঠ কার্যকর্তারা।দলে থেকে দলের এমন ক্ষতি এটা কোন মতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের কর্মী সমর্থকরা। তবে বক্সনগর যুব মোর্চা ,মাইনরিটি মোর্চার নেতৃত্বদের দল থেকে বহিষ্কার না করলে আগামী দিনও দলের এমন ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এখন দেখার বিষয় দল তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় কিনা, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে দলের একনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকরা।