সর্বনাশা ড্রাগসের করাল গ্রাসে যুবসমাজ যখন নিমজ্জিত তখন তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা ময়দানে অবতীর্ণ। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন খবরের ভিত্তিতে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং টি.এস.আর ৬ নং বাহিনীর জওয়ানরা উৎ পেতে বসে। তখন আগরতলার দিক থেকে TR06C0363 নম্বরের একটি ইকো গাড়িতে করে তেলিয়ামুড়ার দিকে আসার পথে হাওয়াই বাড়ী এলাকায় তাদের আটক করে, এবং তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে উক্ত গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটির বসার সিটের নিচের গোপন কক্ষ থেকে ৬৩ কৌটা ড্রাগস, নগদ ৭,৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে আটক করা হয় গাড়িতে থাকা ২৮ বছর বয়সী গণি মিয়া ও ২৯ বছর বয়সী সন্দীপ চক্রবর্তী নামের ২ পাচারকারীকে আটক করে। উল্লেখ্য থাকে,, ড্রাগস পাচারকারী গণি মিয়ার বিরুদ্ধে তেলিয়ামুড়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। তাছাড়া সন্দীপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে থানায়। জানা গেছে,, আগরতলার কোন এক জায়গা থেকে ৬৩ কৌটা ড্রাগস তেলিয়ামুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। মূলত, তেলিয়ামুড়ার যুব সমাজকে ধ্বংস করতে এই ড্রাগসগুলো নিয়ে আসছিল ওই দুই ড্রাগস পাচারকারী। তবে যাই হোক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের তৎপরতায় অবশেষে ড্রাগস গুলি পুলিশের হাতে বাজেয়াপ্ত হয়।