রাজ্যের বিভিন্ন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আগামী ২০শে মার্চ থেকে খোয়াই জেলা জুড়ে শুরু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা আয়োজিত সুস্থ শৈশব এবং সুস্থ কৈশোর অভিযান কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার দুপুরে খোয়াই ধোলাবিল স্থিত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত হয় এক সাংবাদিক সম্মেলন। ওই সম্মেলনে শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্মল সরকার। সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে ডক্টর নির্মল সরকার বলেন আগামী ২০শে মার্চ থেকে ২৮ শে মার্চ অব্দি চলবে এই স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ১০ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ, আইরন ট্যাবলেট, ভিটামিন এ, ডায়রিয়া সহ শিশুদের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে। এছাড়াও শিশুদের দিপ্তেরিয়া এবং টিটিনাস ইনজেকশন প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান। প্রথম পর্যায়ে চারদিন জেলার দশটি হাসপাতাল চারশো ৭৮ টি সরকারি স্কুল ৭৮ টি বেসরকারি স্কুল এবং এক হাজার ৪২ টি অঙ্গনওয়ারী সেন্টার ও ১৮টি ইট ভাট্টাকে চিহ্নিত করা হয়েছে এই কর্মসূচির জন্য । পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২৪ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত যারা এই শিবির গুলিতে কোন কারণবশত উপস্থিত হতে পারেননি বা অনুপস্থিত থাকবে তাদেরকে পরবর্তী সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ওষুধগুলি প্রধান করা হবে। মোট ৭৬ হাজার ১৫৩ জন শিশুকে এই লক্ষ্যমাত্রায় নির্ধারণ করা হয়েছে এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে। এই দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ডক্টর নির্মল সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডি এস ও রাজকিশোর দেববর্মা সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে জেলার স্বাস্থ্য অধিকারীক খোয়াই জেলার সমস্ত শিশু ও কিশোরে দের অভিভাবকদেরকে প্রতি আহ্বান রাখেন যাতে করে আগামী ২০শে মার্চ যে কর্মসূচি রাজ্য সরকারের পাশাপাশি জেলা স্তরে আহব্বান করা হয়েছে সেই কর্মসূচিকে সফল করার স্বার্থে সবাই এগিয়ে আসেন। তিনি এও বলেন স্বাস্থ্য হল অমূল্য সম্পদ এবং আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ অতএব তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচি। তিনি আশা ব্যক্ত করেন এই কর্মসূচি সফল করার স্বার্থে খোয়াই জেলার সমস্ত অংশের শিশু ও কৈশোরদের অভিভাবকরা যাতে এগিয়ে আসেন। এই দিনের সমস্ত বিষয়টি যাতে সমস্ত প্রচার মাধ্যমের কর্মীরা তাদের নিজ নিজ প্রচারের মাধ্যমে শিশু এবং কৈশোরদের ভবিষ্যৎ রক্ষার স্বার্থে প্রচার করেন যাতে করে শিশুদের অভিভাবকরা উৎসাহিত হয়ে কি কর্মসূচিতে শিশুদের নিয়ে যোগদান করেন এর জন্য আবেদন রাখেন জেলার স্বাস্থ্য অধিকারী ডক্টর নির্মল সরকার