Sunday, September 8, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াইয়ের চেরমাতে রাস্তার দুরবস্থার কারণে গাড়ি উল্টে মারাত্মক যখন দুই। সংবাদ সংগ্রহের...

খোয়াইয়ের চেরমাতে রাস্তার দুরবস্থার কারণে গাড়ি উল্টে মারাত্মক যখন দুই। সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ঠিকেদারী সংস্থার ম্যানেজারের বাধা দান, মোবাইল ভাঙচুর এবং সাংবাদিককে জেলে ঢুকানোর হুমকি: ম্যানেজারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা।

জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি কোম্পানির কাজকর্মে ব্যাপক অসন্তুষ্ট খোয়াইয়ের চেরমা এলাকার জনগণ। যখনই স্থানীয় জনগণ নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলছেন ঠিক তখনই ঠিকাদারি কোম্পানির ম্যানেজার তাদেরকে দাবিয়ে রাখতে মামলা করছেন থানায়। যাতে পুলিশের ভয়ে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ কেউ তুলতে না পারে। মকর সংক্রান্তির দিনে রোববার দুপুরে খোয়াইয়ের চেরমাতে জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী কোম্পানির দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য একটি মালবাহী বুলেরো গাড়ি এক বাইসাইকেল আরোহীকে চাপা দিয়ে গাড়িটি পুরো উল্টে যায়। এই ঘটনায় মোট দুইজন মারাত্মকভাবে জখম হন। এদের মধ্যে বাইসাইকেল আরোহী সোনামনি দেবনাথ(48) এবং গাড়ি চালক অমৃত বিশ্বাস(35)কে আশঙ্কা জনক অবস্থায় খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় জিবি হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনা নিয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা একের পর এক অভিযোগ তুললেন বহিরাজ্যের ঠিকাদারি কোম্পানি কলকাতার সিপটেক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এর ম্যানেজার তপন কুমার সান্যালের বিরুদ্ধে। যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে তার উভয় অংশে পাথর ফেলে রাখা হয় বহুদিন ধরে। যার ফলে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও ওই ম্যানেজার রাস্তার উপায় অংশ থেকে পাথর সরায় নি। রোববার দুপুরে সাংবাদিকরা সেই সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে টিকেদারি কোম্পানির ম্যানেজার তপন কুমার সান্যাল এর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করা হয়। দুর্ঘটনস্থলের কিছুটা দূরে থেকে মুখে মাস্ক লাগিয়ে ওই ম্যানেজার সব প্রত্যক্ষ করছিলেন। ঘটনাস্থলে ছিল পুলিশ ও। জনগণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ম্যানেজারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তখনই তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি প্রকাশ্যে চিৎকার করে বলতে শুরু করেন সাংবাদিকদের দেখে নেবেন বলে। সেই সাথে তিনি সাংবাদিকের মোবাইল ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। পাশাপাশি তিনি হুমকিতে দিতে থাকেন সাংবাদিকদের জেলে পুড়িয়ে ছাড়বেন। দূর থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ছুটে আসে জনতা। সাংবাদিকদের জেলে পোড়ানোর হুমকি শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষজন। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তখন পুলিশ ওই ম্যানেজারকে তুলে নিয়ে আসেন থানায়। পরবর্তীতে চেরমায় সংঘটিত ঘটনা নিয়ে খোয়াই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক। এখন দেখার বিষয় পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে কতটা সক্রিয় হয়ে কাজ করে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

9 − seven =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য