শুক্রবার সকালে খোয়াই থানাধীন ধলাবিল পঞ্চায়েতের বাসিন্দা লক্ষ্মী বিশ্বাস এর বাড়িতে অবৈধ ভাবে গাছ কাটাতে গিয়ে এক অনভিজ্ঞ শ্রমিক গাছের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়। ওই শ্রমিকের নাম অজয় সরকার বয়স ৪৫ পিতা ব্রজলাল সরকার বাড়ি খোয়াই থানাধীন পশ্চিম সোনাতলা অজগরটিলা এলাকাতে। ঘটনার বিবরণে মৃত শ্রমিকের ভাই জানায় শুক্রবার সকালে মৃত শ্রমিক অজয় সরকার সহ আরো তিনজন শ্রমিক মিলে খোয়াই ধলবিল পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লক্ষ্মী বিশ্বাস স্বামী জিতু বিশ্বাস এর বাড়িতে করাতী কাজের উদ্দেশ্যে যায় যথারীতি তিনজনে মিলে গাছ কাটার কাজ শুরু করেন বেলা প্রায় ১.৩০ মিনিটে। আর তখনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাছ কাটার সময় ওই শ্রমিক অজয় সরকারের বুকের উপর গাছটি পড়ে যাওয়াতে লাঞ্চ ফেটে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় শ্রমিক অজয় সরকারের। এই ঘটনাটি যখন বাড়ির মালিক লক্ষী বিশ্বাস প্রত্যক্ষ করতে পারেন তখন ওনার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশে এলাকাবাসী ছুটে আসেন সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে খবর পাঠানো হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তারা গাছ কেটে মৃত শ্রমিক অজয় সরকার কে গাছের নিচ থেকে বের করে আনে এবং সঙ্গে সঙ্গে খোয়াই জেলা হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎক অজয় সরকার কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গেছে মৃত্যুকালে ওই মৃত শ্রমিকের স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে পরিবারে। খোয়াই এর আপামর জনগণের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠছে বর্তমান সময়ে খোয়াই শহরতলী লাগোয়া এলাকাগুলিতে গাছ কাটার হীরক চলছে। সেই বিষয়ে বনদপ্তর কুম্ভ-নিদ্রায় রয়েছে তাই তাদের সেই রকম কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এও দেখা গেছে বর্তমান সময়ে আধুনিক গাছ কাটার মোটর চালিত হাত করাত বাজারে এসে গেছে । আর তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অবৈধভাবে গাছ কাটার হিরিক চলছে। এইসব গাছ কাটার শ্রমিকদের তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই, খোয়াই এর আপামর জনগণের দাবি এই ধরনের অবৈধ গাছ কাটার লাগাম টানার খুবই দরকার। এর জন্য মহকুমা বনদপ্তরকে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই । অজয় সরকারের মৃত্যুতে খোয়াই পশ্চিম সোনাতলা এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখন দেখার বিষয় মহকুমা বনদপ্তর অবৈধ গাছ কাটার বিষয়টি লাগাম টানার ক্ষেত্রে আগামী দিনে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নাকি গাছ কাটা চোরা শিকারীদের পথ সুগম করে দেয় সেটাই দেখার বিষয়।