উল্লেখ্য তেলিয়ামুড়া আর. ডি. ব্লকের অধীনে প্রত্যন্ত এলাকার একটি গ্রাম ‘কেরলেং, নামে পরিচিত। এই জনজাতি পল্লীতে প্রায় ৫০ পরিবারের বসবাস। তাদের পেশা অধিকাংশই কৃষিজীবী। এলাকাবাসীরা বিগত বাম সরকারের আমলে ছড়ার উপর একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য বহুবার বাম নেতা থেকে শুরু করে তৎকালীন সময়ের বাম বিধায়িকার কাছেও দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু ওই সময়ে গ্রামবাসীরা উপেক্ষিত ছিল। গত ২০১৮ সালে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে কল্যাণী রায় বিজেপি দলের প্রার্থী হয়ে কেরলেং বাসীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই সময়ে যদি বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তবে এই ছড়ার উপর সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সেই মতো ওই সময়ে কল্যাণী রায় বিধায়িকা হয়ে কেরলেং বাসীদের দাবি মত ছড়ার উপর সেতুর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য রাজ্য বিধানসভাতেও সোচ্চার হয়েছিলেন। পরে কেরলেং বাসীদের জন্য ছড়ার উপর স্টিল ফুট সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এতে কেরলেং এলাকার ৫০ টি পরিবার জনজাতিদের মুখে হাসি ফুটে উঠলো দীর্ঘ ২৫ বছর অপেক্ষার পর। এও এলাকার জনজাতিদের মুখে হাসি ফুটে ২৮ নং তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের প্রচেষ্টাতে। বর্তমানে কেরলেং পাড়ার স্টিল ফুট সেতুটি সেলফি পয়েন্টে পরিণত। বিজেপির জোট শাসনকালের সাড়ে চার বছরে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যেমনটা কেরলেং পাড়ার ছড়ার উপর স্টিল ফুট সেতুটি উন্নয়নের প্রমাণ। এই সেতুটি নির্মাণ করে দেওয়ার পর কেরলেং এলাকার কৃষকরা অতি সহজে রাঙ্খল পাড়া বাজার, তুসিন্দ্রাইবাড়ি বাজার এবং তেলিয়ামুড়া বাজারে এনে তাদের কৃষিজ পণ্য বাজারজাত করতে বর্তমানে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। খুব কম সময়ে তারা তেলিয়ামুড়া বাজারে যেমন আসা-যাওয়া করতে পারে তেমনি অসুস্থ রোগীকে দ্রুত তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারে। অন্যদিকে রাঙ্খল পাড়ার বিভিন্ন এলাকাতে আরও বেশ কয়েকটি ছাড়ার উপর পাকা সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হয় এলাকাবাসীদের দাবী মতো। পরিশেষে বলা চলে বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক খুশির আবহ বইছে।।