মৎস্যচাষে রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করে তুলতে সরকার নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মৎস্য চাষের এলাকা সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন জলাশয় খনন করা হচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস্যচাষে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আজ শহীদ ভগৎ সিং যুব আবাসে রাজ্যভিত্তিক বিশ্ব মৎস্য দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মৎস্যমন্ত্রী প্রেমকুমার রিয়াং একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ডম্বুর জলাশয়ের আশ পাশ এলাকায় যে জনজাতিরা বসবাস করেন তাদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে কেইজ কালচার ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছে। ১টি ট্যাঙ্ক থেকে বছরে প্রায় ১০০০ কিলোগ্রাম মাছ উৎপাদন করা যাবে। আজ বিশ্ব মৎস্য দিবসে ত্রিপুরার সেরা হ্যাচারী মাছচাষি মধুসূধন ভট্টাচার্যকে দমন ও দিউতে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এটা রাজ্যের গর্ব। তিনি বলেন, রাজ্যে মাথাপিছু মাছের উৎপাদন হয় ১৯.৪৬ কিলোগ্রাম। অবশিষ্ট ঘাটতি পূরণে রাজ্য সরকার ও মৎস্য দপ্তর বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদনের জন্য নাবার্ড থেকে ২৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে এর কাজ চলছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে সমাজে যারা পিছিয়ে আছে তাদের এগিয়ে নিতে। মৎস্যমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ন্যাশনাল ফিস কনফারেন্সে রাজ্যের প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রী পরশোত্তম রূপালা রাজ্যে মৎস্যচাষ ও জলাশয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যের জন্য ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন।সভাপতির ভাষণে বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস বলেন, প্রকৃতি আমাদের অনেক দিয়েছে। রাজ্য সরকার মাছের ঘাটতি পূরণে আরও বড় বড় জলাশয় গড়ে তুলবে। বিশেষ অতিথির ভাষণে মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা বলেন, মাছ চাষে রাজ্যের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এখানকার আবহাওয়া, জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ মাছচাষের উপযোগী। রাজ্যের বাইরে থেকে প্রতি বছর ৬০০ কোটি টাকার মাছ আমদানি করতে হয়। এই অর্থ যেন রাজ্যের বাইরে না যায় তার জন্য মৎস্য দপ্তর নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বিশেষ অতিথির ভাষণে নাবার্ডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অনিল পুরোহিত বলেন, নাবার্ড সবসময় মৎস্যচাষিদের পাশে রয়েছে। মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মোসলেমউদ্দিন আহমেদ সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রাজ্যের ৮ জেলায় এরূপ অনুষ্ঠান হবে। তিনি মৎস্য দপ্তরের স্টেট প্ল্যান ওসিএসএস প্রকল্পে প্রাপ্ত ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮- ১৯, ২০১৯-২০, 2020-21 এবং 2021-২২ অর্থবছরের রূপরেখা তুলে ধরেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মৎস্যচাষি লালচান সরকার, রাজকুমার দে, লব তেলেঙ্গা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শ্রীরিয়াং সিপাহীজলা জেলার দ্বিতীয় স্থানাধিকারী প্রোগ্রেসিভ মৎস্যচাষি কৃষ্ণ দেববর্মাকে স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া দপ্তর থেকে ২৩ জন মৎস্যচাষিকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।



