Friday, December 5, 2025
বাড়িখবররাজ্যসাংবাদিক সম্মেলনে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব মহিলাদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে রাজ্যে ৬৩ হাজার...

সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব মহিলাদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে রাজ্যে ৬৩ হাজার ৮০৮ জন মহিলাকে স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত করা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে গত অর্থবছরে রাজ্য ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৪১১টি পাকা আবাস নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছে। গত অর্থবছরে এপ্রিল মাস থেকে এখন পর্যন্ত ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে বায় হয়েছে ২ হাজার ৬১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আগে এরজন্য বায় হয়েছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। আজ সচিবালয়ে প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব ড. সন্দীর আর রাঠোর এই সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে নির্মিত পাকা আবাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিনামূল্যে ৯২ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ, ৭৭ শতাংশ ঘরে পানীয়জল, ৭৭ শতাংশ ঘরে এলপিজি ইত্যাদি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সচিব জানান, রাজ্যের মহিলাদের আর্থসামাজিক অবস্থার মান উন্নয়নে চলতি অর্থবছরে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীনে ৬৩ হাজার ৮০৮ জন মহিলাকে ৭ হাজার ৬৯৬টি স্বসহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ সচিব জানান, চলতি অর্থবছরে মহিলা স্বসহায়ক দলগুলিকে ২৩৬টি গ্রাম সংগঠন এবং ১৬টি ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন এর অধীনে সংঘবদ্ধ করা হয়েছে। আরও ৩৬টি ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন গঠনের কাজ চলছে। তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরে রাজ্যের প্রায় ৪ হাজার ২১৪টি স্বসহায়ক দলকে ৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকার রিভলভিং ফান্ড প্রদান করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ৫৩৬টি স্বসহায়ক দলকে ৩১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা কমিউনিটি ইনভেস্টম্যান্ট ফান্ড প্রদান করা হয়েছে। স্বসহায়ক দলের সদস্যাদের বিভিন্ন জরুরী ভিত্তিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ৫৯টি গ্রাম সংগঠনকে ৮০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ভালনারেবল রিডাকশন ফান্ড হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে রাজ্যের গ্রামীণ স্বসহায়ক দলের সদস্যাদের ১২০ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। স্বসহায়ক দলের সদস্যাদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের আরও ভালভাবে বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে ভিল-মার্ট নামে ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট প্রকল্পের আওতায় আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে স্বসহায়ক দলের তৈরী সামগ্রির জন্য হস্তশিল্পের স্টল চালু করা হয়েছে। সিঙ্গেল ইউস প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে তিনটি স্বসহায়ক দল কাগজ ও সুপারি গাছের পাতা দিয়ে বায়োডিগ্রেডেবল প্লেট তৈরীর ইউনিট স্থাপন করেছে। ৫২৯টি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সাথে জড়িত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে পি এম এফ এম ই প্রকল্পে মূলধন প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ সচিব জানান, কিছু দিন পূর্বে ‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ কর্মসূচিকে সফল করতে স্বসহায়ক দলের সদস্যারা প্রায় ৫০ হাজার জাতীয় পতাকা তৈরি করে বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, রাজ্যে কৃষিভিত্তিক কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চলতি অর্থবছরে ৩৮টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। গ্রামীণ চাষীদের আরও অধিক সুবিধা প্রদানের জন্য ১৭৮টি উৎপাদক দল গঠন করা হয়েছে। বিশেষ সচিব জানান, মহাত্মা গান্ধী এন রেগা প্রকল্পে ২ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ২ কোটি ৫৬ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে। যা শতাংশের নিরিখে ৬১.৭১ শতাংশ। তিনি জানান, মহাত্মা গান্ধী এন রেগা প্রকল্পে ২ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সারা রাজ্যে ৫৮৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এই প্রকল্পে শ্রমিকদের সময়মত মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে শতাংশের নিরিখে ত্রিপুরা রাজ্য ৯৯.২৬ শতাংশ সাফল্য অর্জন করেছে। যেখানে জাতীয় গড় মান ৯৫.১১ শতাংশ। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ সচিব জানান, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রুরবান মিশন প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৩৭৭ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। রূপায়িত হয়েছে ১৩৬টি কর্মসূচি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা, ট্রান্সফরমেশন অব এসপিরেশনাল ব্লক প্রোগ্রাম নিয়েও বিস্তৃত তথ্য তুলে ধরেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপসচিব মনোজ কুমার সাহা প্রমুখ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 × five =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য