মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনায় এখন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত বর্ষের ১৬ হাজার ৬৪৫ জন শিক্ষার্থীকে মোবাইল স্মার্ট ফোন কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধান সচিব পুনিত আগরওয়াল একথা জানান। তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরে আরও ১১ হাজার শিক্ষার্থীকে মোবাইল কেনার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। তিনি জানান, ৪-জি স্যাচুরেশন প্রকল্পে ৪-জি সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে সারা রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ১৭৭টি মোবাইল টাওয়ার বসানো হবে। সম্পূর্ণ কর্মসূচিটি রূপায়ণ করবে বিএসএনএল। তিনি জানান, রাজ্যের ৫৮৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজে ইন্টারনেটের ফাইবার কানেকশনের পাশাপাশি ওয়াইফাই কানেকশনের আওতায় আনা হবে। বিএসএনএল এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করবে। কেন্দ্রীয় সরকার এরজন্য ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান সচিব জানান, ডিজিটাল ভারত গড়ার ক্ষেত্রে কমন সার্ভিস সেন্টার ২.০ প্রকল্পে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিতে জিংসি, বিছবি এবং বিংসি ই-গভর্নেন্স সার্ভিস প্রদানের উদ্দেশ্যে ন্যূনতম একটি কমন সার্ভিস সেন্টার থাকতে হবে। কিন্তু ত্রিপুরার এখনও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি কমন সার্ভিস সেন্টারের আওতায় আসেনি। সেই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিগুলিকে কমন সার্ভিস সেন্টারের আওতায় আনতে ২৭টি মোবাইল কমন সার্ভিস সেন্টার ভ্যান চালু করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিল থেকে ৩ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। তিনি জানান, ত্রিপুরার সম্ভাব্য স্টার্ট আপ উদ্যোগীদের বিনিয়োগের সুবিধার্থে ৫০ কোটি টাকার করপাস ফান্ড নিয়ে ত্রিপুরা স্টার্ট আপ ভেঞ্চার তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এতে ত্রিপুরার সম্ভাব্য স্টার্ট আপ উদ্যোগীরা স্টার্ট আপ গঠনে উৎসাহিত হবে এবং সফলতা পাবে। পাশাপাশি রাজ্যের ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে প্রধানসচিব আশা ব্যক্ত করেন।সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান সচিব জানান, টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলিতে উদ্ভাবনী বিভিন্ন বিষয়ের প্রসারে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিভাদের স্টার্ট আপের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিউ জেনারেশন ইনোভেশন নেটওয়ার্ক (এনজিআইএন) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের ৪টি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন যথাক্রমে এনআইটি, টিআইটি, টেকনো কলেজ এবং ইকফাইতে ইনকুবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ৪টি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন ছাড়াও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অব প্যারামেডিক্যাল সায়েন্স এবং কৃষি কলেজের এনজিআইএন প্রকল্প বাস্তবায়নে তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের সাথে তাদের মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ত্রিপুরা আইটি / আইটিইএস পলিসি 2022 চালু করা হয়েছে। সচিব জানান, ত্রিপুরা আইটি/আইটিইএস স্টার্ট আপ ২০১৯ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে ১৩টি স্টার্ট আপ নিবন্ধিত হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা উত্তম পোদ্দার।



