রাজ্যের জনগণের সুরক্ষায় অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তর সর্বদা নিয়োজিত রয়েছে। আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব অপূর্ব রায় অগ্নি নির্বাচক দপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর ২০২২ এই সময়কালে দপ্তরে নতুন নতুন প্রযুক্তি যেমন জাম্পিং কুশন, ওয়াটার ডাইভিং স্যুট, ফায়ার বল, অতি উচ্চচাপ সম্পন্ন মিনি ফায়ার টেন্ডার সিলেক্টেবল ফ্লো, নজল ইত্যাদি বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে টাকারজলা এবং ফটিকরায়ে (কাঞ্চনবাড়ি) ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। আমবাসা এবং মনুঘাট ফায়ার স্টেশনে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট ফান্ড থেকে রাজ্যের ৫টি স্থানে নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপন করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, এই প্রথমবারের মতো দপ্তরের উদ্যোগে স্পেশাল ফায়ার সেফটি অডিট চালু করা হয়েছে। ৭৯ জনকে দপ্তরের বিভিন্ন কাজে দক্ষ করে তোলার উদ্দেশ্যে নাগপুরের ন্যাশনাল ফায়ার সার্ভিস কলেজে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য দপ্তর থেকে মনোনীত করা হয়েছে।সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের উদ্যোগে দুটো মেগা রক্তদান শিবির করা হয়েছে। দপ্তরের উদ্যোগে সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার হিসেবে ৩৬৬ জন যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো অনলাইনের মাধ্যমে দপ্তরের ১৫০ জনকে হাম রেডিওর উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত চার বছরে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্ম সফলতায় সারা রাজ্য মিলিয়ে ১৭৩.২০ কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষা করা হয়েছে এবং ১২ হাজার ৯২৮ জনের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, ৫০টি ফায়ার স্টেশনকে কম্পিউটারের আওতায় আনা হয়েছে। ১০০ শতাংশ এডহক প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, জনগণের সুরক্ষায় রাজ্যে ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস অ্যাক্ট ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। দপ্তরে ইউনিফর্ম রুলস চালু করা হয়েছে। বাধারঘাটে নতুন একটি ট্রেনিং স্কুলের উদ্বোধন করা হবে। তিনি জানান, অনলাইনের মাধ্যমে ফায়ার এনওসি শংসাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অধিকর্তা অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ প্রমুখ।



