কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে আজ উদয়পুরের রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে আয়োজিত জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের রাজ্যভিত্তিক আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়। এদিনের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বোতাম টিপে NDRF প্রকল্প থেকে ৪১,৫৮১ জন কৃষককে ৭ কোটি ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন কৃষকদের সবদিক দিয়ে উন্নতিসাধন এবং স্বনির্ভর করে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এই সরকার কৃষক বান্ধব সরকার। কৃষকরা হচ্ছেন দেশের মেরুদন্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জী নিজেও কৃষকদের সার্বিক কল্যাণে সচেষ্ট রয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় কৃষক কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। ফুল চাষেও স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছে রাজ্য। ভুট্টা চাষেও বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য। আগের তুলনায় রাজ্যে বেড়েছে ভুট্টার উৎপাদন। তাছাড়া ফুল চাষের মাধ্যমেও কৃষকদের আয় উপার্জন বৃদ্ধি করা যায়, এইরকম চিন্তাভাবনা আগে ছিল না। আগে ফুলের জন্য কলকাতার দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো । এখন ফুল চাষে রাজ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। রাজ্যের কৃষকভাইদের আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ৫৭৪ হেক্টর এলাকায় খোলা জমিতে ফুল চাষ এবং ৪৫৫ টি ইউনিট বিদেশী ফুল (Exotic) চাষের পরিকাঠামো তৈরি করে ফুল চাষের জন্য ব্যবস্থা করা হয় এবং ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি গত ৭ই জুন ২০১৮ তারিখে ক্যুইন প্রজাতির আনারসকে ‘রাজ্যিক ফল হিসাবে ঘোষণা করেছেন বলে জানান তিনি, যার ফলে আজ রাজ্যের ক্যুইন ও কিউ প্রজাতির আনারস বিশ্ববাজারে সমাদৃত। সরকারী উদ্যোগে ত্রিপুরার রাজ্যিক ফলের প্রথম বিদেশ যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালের ৩রা জুন ।এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৯০৯ মেট্রিকটন ত্রিপুরার আনারস দুবাই ও কাতার সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি হয়েছে । আনারস চাষিদের মোট ১১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে জানান। তার পাশাপাশি তিনি আরও বলেন পি এম কিষাণ সম্মান নিধি, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার ফলে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। জৈব চাষ প্রকল্পে ২১ হাজার হেক্টর এলাকায় ক্লাস্টার ব্যবস্থায় আনারস, সুগন্ধি ধান, আদা, হলুদ, মরিচ ইত্যাদি ফসলের চাষ হাতে নেওয়া হয়েছে যাতে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।



