Thursday, February 6, 2025
বাড়িখবররাজ্যআনন্দনগরে প্রাণী চিকিৎসালয়ের প্রাণীপালনের মধ্য দিয়ে খুব কম সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা...

আনন্দনগরে প্রাণী চিকিৎসালয়ের প্রাণীপালনের মধ্য দিয়ে খুব কম সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন করা সম্ভব : প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী

রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষের মধ্যে প্রাণীপালনের একটা ধারা রয়েছে প্রাণীপালনের মধ্য দিয়ে খুব কম সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন করা সম্ভব । তবুও রাজ্য দুধ , ডিম , মাংস উৎপাদনে আজও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারেনি । কারণ বিগত সরকারের আমলে প্রাণীপালনের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি । আজ আনন্দনগরে প্রাণী চিকিৎসালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করে একথা বলেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস । উল্লেখ্য , ২০১৮ সালে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় এই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল । মোট ৬২ লক্ষ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয় । এরফলে আনন্দনগর , শ্রীনগর , মলয়নগর গ্রামপঞ্চায়েত সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার এক বিশাল সংখ্যক প্রাণীপালক উপকৃত হবেন । প্রাণী চিকিৎসালয়ের উদ্বোধন করে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী শ্রীদাস বলেন , আমাদের রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে হাঁস , মোরগ , গরু , শুকর ইত্যাদি পালন করা হয় । সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যবাসীর এই মানসিকতাকে কাজে লাগিয়েই রাজ্যকে অনেকদিন পূর্বেই বিভিন্ন প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর করে তোলা যেতো । তাই সরকার মানুষের এই মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে প্রাণীপালনে ছোট ছোট ও যুগপোযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে । মন্ত্রী শ্রীদাস চড়িলামের স্বউদ্যোগী স্বপন দেবনাথের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন , প্রায় ২ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তিনি ডিম উৎপাদনকারী ফার্ম গড়ে তোলেন । বর্তমানে প্রত্যেকদিন তার ফার্ম থেকে গড়ে ৭০ হাজার ডিম উৎপাদিত হচ্ছে । এটা স্বনির্ভরতার একটা অন্যতম দৃষ্টান্ত । প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী আরও বলেন , প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্যমী যুবক যুবতীরা এই ধরনের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের যুক্ত করার জন্য আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ করছেন । তিনি বলেন , বর্তমানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে ক্লাস্টার পদ্ধতিতে কিছু কিছু গ্রামকে চিহ্নিত করে একই ধরনের প্রাণী বিতরণ করা হচ্ছে । তার ফলে সরকার এবং দপ্তরের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিতকরণ এবং পরবর্তী সুবিধা প্রদানে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন , রাজ্য সরকার প্রাণীপালনের মধ্য দিয়ে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে । গড়ে তোলা হচ্ছে উন্নত পরিকাঠামো ফলে রাজ্যের প্রাণীপালকগণ আরও বেশি পরিমাণে প্রাণীপালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা বিমল কুমার দাস জানান , গত দুই বছরে ১০ টি প্রাণী হাসপাতাল ও ডিসপেনসারি নির্মাণ এবং ২২ টি সাবসেন্টারের সংস্কার করা হয়েছে । এছাড়াও আরও দুটি হাসপাতাল নির্মাণ ও ৫ টি সাবসেন্টারের সংস্কারের কাজ চলছে । তিনি আরও জানান , মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার পরিবার উপকৃত হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী গোধন প্রকল্পে সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ । এই প্রকল্পে ডোজ টেপার হিসেবে ইতিমধ্যে ৪৭ জনকে তিনমাসের ট্রেনিং দিয়ে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও তাদের বিভিন্ন সামগ্রী বাবদ ৪০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে । দপ্তর দুর্গাপূজার পরেই প্রাণী চিকিৎসায় আরও দ্রুত পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৩ টি মোবাইল ভেটেরিনারি ভ্যান চালু করবে । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অজয় কুমার দাস সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানগণ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

8 − six =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য