গত 22-08-2022 মহামান্য ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়ে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত দুই শতাধিক DRW বন্ধু ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের দৈনিক হাজিরা কর্মচারী হিসেবে আইনি স্বীকৃতি পেল। প্রতিষ্ঠিত হলো তাদের অধিকার। জয হল ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতি র দীর্ঘ আন্দোলনের । এই আন্দোলনে যারা সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে DRW কর্মীদের যারা প্রতিনিয়ত চলতে থাকা, অপপ্রচার, প্ররোচনা উপেক্ষা করে সংগঠনের উপর আস্থা রেখে ধৈর্য্য ধরে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন আইনি লড়াইয়ে যোগ্য ভূমিকা পালন করঠেন। তাদের ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতি ও সংগ্রামী অভিনন্দন জানাচ্ছে । এখানে উল্লেখ থাকে যে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ১৪৮টি শাখা, ১৪টি USB, ৩টি Regional office ও Head Office. সব মিলিয়ে ১৬৬টি ইউনিট। অনেক শাখায় একাধিক অফিস এটেন্ডন্ট প্রযোজন ।অথচ ব্যাংকে বর্তমানে 16 জন অফিস এটেন্ডন্ট কর্মরত আছেন । বাকী শাখায় DRW দের দিয়ে কম মজুরি বিনিময়ে অপেক্ষা কৃত বেশি দায়িত্ব ত কাজের চাপ মাথায় নিয়ে সংস্থাকে ভালবেসে জীবনের মূল্যবান সময় উজার করে দেওয়া সত্বেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের অস্তিত্ব কে অস্বীকার করে ।এমতাবস্থায় এই রায় DRW দের মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করে । ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণ মহামান্য হাইকোর্টে ধোপে টেকে নি। আমরা DRW বন্ধু দের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান করে তাদের নিযমিতকরণের মধ্য দিয়ে তাদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি রাখছি । এই ব্যাপারে কোন ধরনের তালবাহানা আমাদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দিলে তার ফল হবে অপ্রত্যাশিত । এদিন উপস্থিত ছিলেন বরিষ্ঠ আইনজীবী শ্রী পুরুষোত্তম রায় বর্মন, আইনজীবী সমরজিৎ ভট্টাচার্য্য, আইনজীবী কৌশিক নাথ, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতির সভাপতি শ্রী কৃষানু দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্রীমতী রত্না ব্যানার্জী, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়নের সভাপতি শ্রী সিদ্ধার্থ শংকর দেবরায় ও জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরামের চেয়ারম্যান শ্রী বিজন ধর সহ সমিতির নেতৃবৃন্দ।