গ্রামীণ ব্যাংকের বৃহৎ সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া রিজিওনাল রুরাল ব্যাংক এমপ্লয়ীজ অ্যাসোসিয়েশনের সারা ভারতব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতি, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়ন ও ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক রিটায়ার্ড স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের ডাকে গ্রামীণ ব্যাংকগুলিকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ও অন্যান্য ১২ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে আজ শুক্রবার ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক গনধর্না অনুষ্ঠিত হয়। এই গণধর্নায় ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ইউনিট থেকে ২০৭ জন কর্মচারী ও অফিসার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতির সাধারন সম্পাদক রত্না ব্যানার্জী, সারা ভারত নেতৃত্ব সমীর দেববর্মা,ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ফেডারেশন অফ ত্রিপুরার সম্পাদক জহর লাল দে।
বক্তাদের বক্তব্যে বার বার উঠে আসে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের স্পন্সর ব্যাংক থেকে ডেপুটেশনে আগতরা কি ভাবে বিভিন্নভাবে অন্যায় আবদার করে চলেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের অন্যায় আবদার মেটাতে খরচ হচ্ছে। এই সব অন্যায় আবদারকারীদের অবিলম্বে তাদের মূল ব্যাংকে ফেরত যাবার স্লোগান উঠে। এদিনের ধর্না থেকে আওয়াজ উঠে গ্রামীণ ব্যাংকে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান ছাড়া আর কেউ গ্রামীণ ব্যাংকে ডেপুটেশনে আসতে পারবে না।
আওয়াজ উঠে গ্রাহক স্বার্থে নেটওয়ার্ক ও এটিএম পরিষেবা সহ প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।
১২ দফা দাবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রত্যেক শাখায় ভারত সরকারের অনুমুদিত মিত্র কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রমোশন ও কর্মী নিয়োগ করতে হবে। ভারত সরকারের সমকাজে সমবেতন নীতিতে দৈনিক হাজিরা কর্মীদের মুজুরী প্রদান ও নিয়মিত করতে হবে। জাতীয় গ্রামীণ ব্যাংক গঠন করতে হবে। স্পন্সর ব্যাংক থেকে চেয়ারম্যান ব্যতীত ডেপুটেশনে অফিসার আনা বন্ধ করতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকে পেনশন পলিসি সঠিক করতে হবে। গ্রামীণ ব্যাংকে একাদশ বেতন চুক্তি অনুযায়ী বেতন ভাতা প্রদান করতে হবে।



