Wednesday, July 2, 2025
বাড়িখবররাজ্যরাজ্যের এডিসি এলাকায় জল জীবন মিশনের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায়, জল জীবন...

রাজ্যের এডিসি এলাকায় জল জীবন মিশনের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায়, জল জীবন মিশনে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তিক এলাকার ঘরে ঘরে পরিণত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে বলেন পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান মন্ত্রী

জল জীবন মিশনে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তিক এলাকার ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে । ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের খুমুলুঙস্থিত প্রশাসনিক কার্যালয়ের ২ নং কনফারেন্স হলে রাজ্যের এডিসি এলাকায় জল জীবন মিশনের অগ্রগতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন । তিনি আরও বলেন , জল মানুষের জীবন সুরক্ষিত রাখে । মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে থাকে । তাই দেশের প্রতিটি ঘরে পরিশ্রুত পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই জল জীবন মিশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় । আমাদের রাজ্যের সরকারও এই ভাবনায় কাজ করছে । তাই রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতির প্রতিটি মানুষ যেন এই জল জীবন মিশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না থাকেন । তিনি বৈঠকে উপস্থিত পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের প্রতিনিধিদের এবিষয়ে বিশেষ নজর রাখার অনুরোধ জানান । যেসব দুর্গম প্রত্যন্ত এডিসি এলাকায় পানীয়জল উত্তোলনের সুবিধা নেই সে সব অঞ্চলে পাইপলাইনে অন্যস্থান থেকে জল সরবরাহ করতেও তিনি প্রতিনিধিদের পরামর্শ দেন । এছাড়া ট্যাংকারে করেও জল সরবরাহ করতে বলেন । এই শুখা মরশুমে মানুষ যেন জলের কষ্টে না ভোগেন সেদিকে তিনি সকলকে কঠোরভাবে নজর রাখতে বলেন । ২০২২ – এ পানীয় জলের উৎস আরও ব্যাপকভাবে খনন এবং বিগত দিনের অম্পূর্ণ জলের উৎস খননের কাজগুলি দ্রুত শেষ করতেও তিনি নির্দেশ দেন । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টিটিএএডিসি’র উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মণ । তিনি বৈঠকে বক্তব্যে জনজাতি এলাকায় জলজীবন মিশনের প্রয়োগ আরও বেশী করে করতে এবং সেই সাথে সরবরাহকৃত জলের গুণমান বজায় রাখার দিকেও নজর দিতে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন । এছাড়া জল সংরক্ষণ ও জলাধার খননের উপরও গুরুত্বারোপ করে বৈঠকে তিনি বক্তব্য রাখেন । বৈঠকে টিটিএএডিসি’র মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া বলেন , জলজীবন মিশন একটি সুন্দর প্রকল্প । এ প্রকল্পে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন । তিনি বলেন , বেশী করে মিনি ডিপ টিউবওয়েল খনন করতে হবে । যেসব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরাবরাহ নেই সেসব অঞ্চলে সোলার ব্যবস্থা চালু করতে হবে । * ২ য় পাতায় পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের প্রধান সচিব কিরণ গিত্যে পর্যালোচনা বৈঠকে জানান , সারা রাজ্যের ৮ টি জেলার এডিসি এলাকায় বর্তমানে ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৬ টি পরিবারে জল জীবন মিশনে জল সরবরাহ করা হচ্ছে । এর মধ্যে উত্তর ত্রিপুরাতে ৪৭,৮২২ টি , পশ্চিম ত্রিপুরায় ৩২,৯৪৭ টি , ঊনকোটি জেলায় ৪৭,৬১৩ টি , গোমতী জেলায় ৩৬,৭৫৩ টি , দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৬৫,৬৩২ টি , খোয়াই জেলায় ৪৫,২৫৮ টি , ধলাই জেলায় ৫৪,৮৪৮ টি এবং সিপাহীজলা জেলায় ৫১,৭৪৩ টি পরিবার রয়েছে । এছাড়া রাজ্যের এডিসি এলাকাগুলিতে পানীয়জল সরবরাহের বিভিন্ন স্কিমের মধ্যে ১১২৬ টি গভীর নলকূপ , ২,৩৫৯ টি স্মলবোর , ২৩ টি সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট , ৩৮৭ টি আয়রন রিমুভ্যাল প্ল্যান্ট এবং ২৮ টি ইনোভেটিভ স্কিম চালু আছে বলেও বৈঠকে প্রধান সচিব জানান । বৈঠকে জল জীবন মিশন কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন টিটিএএডিসি’র উপ মুখাকার্যনির্বাহী সদস্য অনিমেষ দেববর্মা । এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টিটিএএডিসি’র নির্বাচিত সদস্য কমল কলই ও সদস্য ভবরঞ্জন রিয়াং , রাজ্যের ৮ টি জেলার এডিসি’র জোন্যাল কার্যালয়ের চেয়ারম্যানগণ ও পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের জেলা কার্যালয়গুলির কার্যনির্বাহী আধিকারিকগণ । তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জেলার এডিসি এলাকায় পানীয়জল সরবরাহের কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা করেন ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

11 + 4 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য