ইন্টারনেটের যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি রকমারি সামগ্রী। তারপরেও আজও এই সকল ঐতিহ্যগুলি -কে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্পীরা। বর্তমানে মুঠো মোবাইলে পাবজি;ফ্রী-ফায়ার সহ অত্যাধুনিক মোবাইল গেমস্ -এর যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির তৈরি রান্না-বাটি, পুতুল সহ রকমারি খেলনা সামগ্রীর কদর। কিন্তু আজও মাটির তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির উদ্দেশ্যে মৃৎশিল্পীরা পরসা সাজিয়ে বসে বিভিন্ন গ্রাম্য মেলা গুলোতে। বর্তমানে চৈত্রের শেষ বৈশাখের শুরুতে চলছে চড়ক মেলা হিড়িক বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে। আর এই মেলাকে কেন্দ্র করে মৃৎ শিল্পীরা নিজ নিজ বাড়িতে মাটির তৈরি খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এক মৃৎ শিল্পী নির্মল রুদ্রপাল তেলিয়ামুড়া করইলং পালপাড়া থেকে জানান,বর্তমান অত্যাধুনিক যুগের মাটির তৈরি খেলনা চাহিদা থাকলেও এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মাটির খেলনা তৈরিতে আগ্রহ না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে এই ধরনের মৃৎ শিল্পগুলি। তিনি আরো জানান,মাটির তৈরি খেলনা সামগ্রী মেলা গুলিতে পসরা সাজিয়ে বসে থাকলে বেচাকেনা কম হয়না। শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি মেলায় মাটির তৈরি খেলনা সামগ্রী নিয়ে মেলাতে হাজির থেকে পসরা সাজিয়ে বসে। বিগত দিনগুলি থেকে তুলনামূলক খেলনা জিনিস সামগ্রীর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তিনি বিভিন্ন মেলাতে পসরা সাজিয়ে থাকেন, রান্না বাটি, ঘোড়া, হাতি,পুতুল সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় ছোট বাচ্চাদের খেলনার রকমারি সামগ্রী নিয়ে। মেলা গুলিতে রকমারি খেলনা সামগ্রী চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করতে পারে না। কারণ বর্তমানে মাটি ও দূরদূরান্ত থেকে ক্রয় করে আনতে হয়। রং এর দামও তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে।ফলে মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের মাটির সামগ্রী তৈরি করতে অনীহা প্রকাশ। এমন করে চলে থাকলে একদিন হারিয়ে যেতে পারে মাটির তৈরি খেলনা সামগ্রী।