Friday, December 12, 2025
বাড়িখবররাজ্যনতুন ত্রিপুরা গড়তে রাজ্য পুলিশ ফ্রন্ট রানার হিসেবে কাজ করছে: মুখ্যমন্ত্রী

নতুন ত্রিপুরা গড়তে রাজ্য পুলিশ ফ্রন্ট রানার হিসেবে কাজ করছে: মুখ্যমন্ত্রী

পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় ও কল্যাণের জন্য কাজ করছে। পুলিশের পোষাক একজন পুলিশ কর্মীর নিকট তার পোষাক অহংকার ও গর্বের। পুলিশের কাজের স্বাধীনতায় সরকার হস্তক্ষেপ করেনা। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা পুলিশ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয়স্তরে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রত্যেক রাজ্যের ডিজিপি ও আইজিপি’দের সভায় গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ নিয়ে আজ আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে রাজ্য পর্যায়ের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথাগুলি বলেন।

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ে গত নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ’র উপস্থিতিতে প্রত্যেক রাজ্যের ডিজি ও আইজি পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে জাতীয় স্তরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে আজ রাজ্যস্তরে পর্যালোচনা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ে বিদেশী শক্তি অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে। বিদেশী মদতে বিভিন্ন আন্দোলনের নামে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর ভাষায় এসব মোকাবিলার কথা ব্যক্ত করেছেন। জাতীয় স্তরে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিজি ও আইজি পদমর্যাদার আধিকারিকদের বিভিন্ন নির্দেশিকা ও পরামর্শ দিয়েছেন। সেই নির্দেশিকা ও পরামর্শসমূহ আজ পর্যালোচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই নির্দেশিকা রাজ্যে অনেকটাই কার্যকর হয়েছে। কিন্তু তাতে আত্মতুষ্টির কোন অবকাশ নেই। ‘নতুন ত্রিপুরা’ গড়তে রাজ্য পুলিশ ফ্রন্ট রানার হিসেবে কাজ করছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে যে নীতিনির্দেশিকা গৃহীত হয়েছে তা প্রতিনিয়ত চর্চা করে প্রয়োগ করতে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র সুরক্ষিত এবং শক্তিশালী হলে আইনশৃঙ্খলা, বিপর্যয় মোকাবিলা ও গার্হস্থ্য হিংসার মতো সমস্যাগুলি সমাধান করা সম্ভব। তিনি বলেন, রাজ্য পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজেও যুক্ত রয়েছে। এর ফলে মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন দিক থেকে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে। রাজ্যকে সেদিক থেকে এক নম্বরে নিয়ে যেতে গেলে রাজ্যের আরক্ষা বাহিনীকে আরও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা ও দক্ষতা রয়েছে।

আজকের পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের ডিজি অনুরাগ, ৮ জেলার এসপিগণ এবং এসপি পদপর্যাদার পুলিশ আধিকারিকগণ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

five × three =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য