চোখের সমস্যা জনিত কারণে আইজিএম হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনগণ আসছেন। আইজিএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকগণ সাফল্যের সাথে চোখের ছানির অস্ত্রোপচার সহ বিভিন্ন চক্ষু সমস্যার চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করছেন। গত ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে আইজিএম হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ২১ জন রোগীর চোখের ছানির অস্ত্রোপচার সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে আইজিএম হাসপাতালের চক্ষুবিভাগে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকগণ আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নিয়মিত চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করেন। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পূর্বে রোগীর চোখের সম্পূর্ণ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা, চোখের চাপ বা ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার পরীক্ষা ইত্যাদি। এছাড়াও চোখের লেন্সের মাপ সহ প্রয়োজনীয় তথ্য সহ কোন ধরনের চোখের কৃত্রিম লেন্স বা ইন্ট্রাওকুলার লেন্স রোগীর জন্য উপযুক্ত হবে ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সাধারণত আইজিএম হাসপাতালে মাইক্রো-ইনসিশন ক্যাটারাক্ট সার্জারি বা ফেকো পদ্ধতিতে চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করা হয়, যা অত্যন্ত আধুনিক ও ব্যথাহীন। চোখের স্বচ্ছ কৃত্রিম লেন্স বসানোর পুরো প্রক্রিয়াটি সাধারণত অল্প সময়েই শেষ হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেলাই-এর প্রয়োজন লাগে না। অস্ত্রোপচারের শেষে রোগীকে কিছুদিন চোখে ওষুধের ড্রপ ব্যবহার করতে হয় এবং চোখকে ধুলো থেকে রক্ষা করার জন্য চশমা ব্যবহার করতে হয়, ভারী কাজ এড়িয়ে চলতে হয় এবং নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ফলো-আপে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের কয়েক দিনের মধ্যেই রোগী স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি আগের মতো ফিরে পান। উক্ত অস্ত্রোপচারে আইজিএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন ডাঃ শ্যামরূপ ভট্টাচার্য, ডাঃ দীপঙ্কর ভৌমিক এবং নার্সিং অফিসার নূপুর চক্রবর্তী, নিতু দেববর্মা সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান জন আরোগ্য যোজনার অধীনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আইজিএম হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকগণের দ্বারা চোখের ছানির অস্ত্রোপচারের সুবিধা লাভকরে রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা চক্ষু চিকিৎসক সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এ সংবাদ জানানো হয়েছে।



