রাজ্যের ছেলেমেয়েরা প্রতিভা ও সৃজনশীলতার নিরিখে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। জাতীয় স্তরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা উল্লেখযোগ্য স্থান লাভ করে ত্রিপুরার মুখ উজ্জ্বল করেছে। রাজ্য সরকার রাজ্যের ছেলেমেয়েদের প্রতিভা বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। আজ আগরতলার উমাকান্ত একাডেমি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা সমগ্র শিক্ষার উদ্যোগে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক আন্তঃ বিদ্যালয় ব্যান্ড প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, ব্যান্ড আমাদের খেলাধুলার অঙ্গ। এর মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের মধ্যে শৃঙ্খলা, ধৈর্য্য এবং দলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। এই গুণগুলি তাদের শুধু ভালো শিল্পী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করে না, তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার পাশাপাশি তাদের জীবনকে সফল করে তোলে। ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথে এগিয়ে যেতে এই সৃজনশীল গুণগুলি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের বড় শক্তি। এগুলি তাদের ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শেখায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতাটি শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতাই নয়, এটি শৃঙ্খলা, একতা, দলগত কাজ এবং সৃজনশীলতার এক অনবদ্য নিদর্শন। ছেলেমেয়েদের উৎসাহ, তাদের সাজসজ্জা সব মিলিয়ে সাংস্কৃতিক ও দলগত কার্যক্রমে ত্রিপুরার মান উঁচুতে তুলেছে। প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া না পাওয়া বড় বিষয় নয়, বরং এই ধরনের মঞ্চে যোগদান করায় বড় উপলব্ধি বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতা ২০১৭সাল থেকে আয়োজিত হচ্ছে। ত্রিপুরায় ২০১৯ সাল থেকে এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংগীত, নাটক, ব্যান্ড ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে বেশি করে যুক্ত হলে সমাজ আরও এগিয়ে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, গত কয়েক বছর জাতীয় পর্যায়ে এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় রাজ্যের ছেলেমেয়েরা উল্লেখ্যযোগ্য স্থান লাভকরে রাজ্যকে গৌরবান্বিত করেছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ত্রিপুরা সমগ্র শিক্ষার স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর রাজীব দত্ত বলেন, রাজ্যভিত্তিক এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় ৭টি স্কুল থেকে ১০টি দল অংশগ্রহণ করে। রাজ্যভিত্তিক এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত সেরা দলটি রাঁচিতে অনুষ্ঠিত জোনালভিত্তিক ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও মধ্যশিক্ষা অধিকর্তা এন. সি. শর্মা এবং এস.সি.ই.আর.টি.-র অধিকর্তা এল. ডার্লং উপস্থিত ছিলেন।



