মেলাঘর এর বানিয়াছড়ার কৃষক লতিফ মিয়া কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে সেই অতীতের লাঙ্গল-জুয়াল এবং গরুর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জমি প্রস্তুতির দ্বারা আজও কৃষি কাজে অবিচল!
এক বিড়ল দৃশ্য হঠাৎ সাত সকালে কাঠালিয়ার মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের পাশে লাঙ্গল কান্দে সেই কৃষক লতিক মিয়া অপেক্ষারত ছিলেন গাড়িতে করে বাড়ি যাওয়ার জন্য।
এই সময়টাতে প্রত্যক্ষদর্শী কিছু ব্যক্তি প্রবীন এই বয়স্ক লোকটির কাজে নাঙ্গল দেখে অনেকে অট্টহাসি শুরু করে।। অন্যের এই হাসি ছলে সংহতি রেখে কৃষক লতিফ বাবু ও মুচকি হাসছেন।
এই সময়ে সংবাদ কর্মী হিসেবে পাশে থেকে জানতে চাইলে কৃষক লতিফ মিয়া বলেন দেখুন, যতই আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কৃষি কাজ করি না কেন! একদিকে যেমন টাকা-পয়সার প্রশ্ন হয় অপরদিকে নাঙ্গল দিয়ে জমি প্রস্তুত করলে তার বৈশিষ্ট্য আলাদা।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সোনামুড়া মহকুমার অন্তর্গত বানিয়াছড়ায় আমার বাড়ি। চারজনই নাকি উনার কৃষি জমি রয়েছে। তিনি ধান চাষ ছাড়াও বিভিন্ন সবজির চাষ করে পরিবার চালাতে হচ্ছে।
প্রবীণ কৃষক বলেন, লাঙ্গল দিয়ে উঁচু নিচু জমি চাষ করা যায়। হালের গরু আছে, তাই জমি প্রস্তুত করতে কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না।
নিজের নাঙ্গলটি ভালো না থাকায় কাঠালিয়ার বাটাখলা গ্রাম থেকে পুরানো এই নাঙ্গলটি সংগ্রহ করে তিনি বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
নাঙ্গল কান্দে বৃদ্ধ এই কৃষককে দেখে কাঠালিয়া মোটর স্ট্যান্ড এর কতিপয় কৌতুহলী জনতা যতই রহস্য করুক না কেন লতিফ মিয়া কিন্তু একজন প্রকৃত আদর্শবান কৃষক বানিয়াছড়া গ্রামের।



