পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাগৃহে গত ১৮ নভেম্বর জিলা পরিষদের শিল্প বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শিবায়ণ দাস। সভায় উপস্থিত ছিলেন জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল ও কমিটির অন্যান্য সদস্য-সদস্যাগণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ। সভায় শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের আধিকারিক জানান, চলতি বছরে জেলার ৯৩ জনকে স্বাবলম্বন প্রকল্পে ঋণের আবেদনের মঞ্জুরী পত্র দেওয়া হয়েছে। পিএমইজিপি’তে ৪৬ জনের ঋণের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। সভায় হস্ততাঁত, হস্তকারু ও রেশম শিল্প দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, চলতি বছরে জেলার ৩টি রেশম শিল্প উৎপাদন কেন্দ্রের ৩৭.৫০ একর জমিতে তুঁত চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে ৭৬টি সুবিধাভোগী পরিবার উপকৃত হবে। চম্পকনগর, মোহনপুর ও ডুকলি এই তিনটি রেশম শিল্প কেন্দ্র এলাকায় তুঁত চাষের কাজ চলছে বলে রেশম শিল্প দপ্তরের আধিকারিক সভায় জানিয়েছেন। আরও জানান যে, চম্পকনগর রেশম শিল্প কেন্দ্র এলাকার ৩টি তুঁতচাষি পরিবারকে রেশমগুটি পোকা চাষের গৃহ নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩০ জন হস্ততাঁত শিল্পীকে কুর্সি কাটায় বিভিন্ন বস্ত্রে নক্সা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ইন্দ্রনগর হস্তকারু শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। এখানে প্রশিক্ষণার্থীদের ৩ মাসের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পূর্বাশার প্রতিনিধি সভায় জানান, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে পূর্বাশা জেলার হস্ততাঁত শিল্পীদের কাছ থেকে ১০, ১২,৬০, ১৯৫ টাকার বস্ত্র ক্রয় করেছে। হস্তকারু শিল্প সামগ্রী ৫, ১৮,৩৪৭ টাকার ক্রয় করেছে এবং ১২,৮০,৩৩৪ টাকার কারু শিল্প সামগ্রী বিক্রয় করেছে।



