ল্যাম্পস ও প্যাকসগুলির উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও দূরদৃষ্টি নিয়ে এগোতে হবে। আজ কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে ঊনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক ৭২তম অখিল ভারত সমবায় সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বহু প্যাকস ও ল্যাম্পসকে কম্পিউটার সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করেছে। এখন তাদের দায়িত্ব এই সুবিধাগুলিকে কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নিজেদের মনের দিক থেকে আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভর হতে না পারলে কোনও সংস্থা দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারে না। সমিতিগুলিকে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বৈচিত্র্য আনতে হবে। অন্যান্য সফল সমবায় মডেল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের পরিকল্পনা উন্নত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ বলেন, প্যাকস ও ল্যাম্পস যেই চালান না কেন, প্রত্যেককে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিকল্পিত উদ্যোগ ও পরিশ্রমই এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রকৃত সফলতা নিশ্চিত করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ, কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ড. তমাল মজুমদার, বিশিষ্ট সমাজসেবী কাজল দাস প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের কনভেনার ডি.সি.এম. রাজীব দত্ত।
এই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, উত্তর ত্রিপুরা ও ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ফল ও মিষ্টি বিতরণ, রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আজকের এই অনুষ্ঠানে বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।



