মাছচাষ খুবই লাভজনক। তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছচাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজ জম্পুইজলা মহকুমার বুখুরুই কমিউনিটি হলে মহকুমার নতুন মৎস্য জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। তিনি বলেন,
ত্রিপুরায় মাছের চাহিদা বেশি। প্রায় ৯৮ শতাংশ ত্রিপুরাবাসী মাছ খান। তবে
চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় বহিরাজ্য থেকে কিছু মাছ আমদানি করতে হয়। তিনি বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য মৎস্য দপ্তর নানা পরিকল্পনা
নিয়ে কাজ করছে। রাজ্যে মাছচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এমন মৎস্যচাষিদের
উৎসাহিত করার জন্য মৎস্য দপ্তর থেকে মৎস্য সহায়তা যোজনায় বছরে ৬ হাজার টাকা করে চাষিদের আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। সরকার প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় মাছচাষের জন্য নতুন জলাশয় ও পুকুর সংস্কারের জন্য আর্থিক সাহায্য করে আসছে। বিভিন্ন স্বসহায়ক দল এবং ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই মাছচাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস। সভাপতিত্ব করেন জম্পুইজলা বি.এ.সি.-র চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই, জম্পুইজলা বি.এ.সি.-র ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন কলই, মৎস্য দপ্তরের সচিব দীপা ডি. নায়ার, সমাজসেবী অর্জুন দেববর্মা প্রমুখ। মহকুমায় এই মৎস্য জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।



