Saturday, September 13, 2025
বাড়িখবররাজ্য২০২৮-২৯ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে: সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী

২০২৮-২৯ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে: সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী

ত্রিপুরা আগামী ২০২৮-২৯ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, নিজের রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে ২০২৯-৩০ অর্থবছরের মধ্যে ত্রিপুরার উৎপাদিত আলু দেশের অন্যান্য রাজ্যেও রপ্তানি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ সচিবালয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ তার অফিস কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আলু উৎপাদনে শুধু স্বনির্ভর হওয়াই নয়, রাজ্যে আলুর চিপস প্রসেসিং সেন্টারও গড়ে তোলা হবে। এ বিষয়ে আর.কে.ভি.ওয়াই. প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৯-৩০ অর্থবছরের জন্য ৩৫ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার একটি প্রজেক্টও গড়ে তোলা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী জানান, পেরুর রাজধানী লিমা থেকে এপিক্যাল রুট কাটিং পদ্ধতি আমদানি করে আলু চাষ করে রাজ্যে এবছর আলুর রেকর্ড ফলন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি আলুর উৎপাদন হয়েছে। রাজ্যের এই সাফল্যের খবর লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্র পেরুতে গিয়ে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টারের ডিরেক্টর জেনারেল সাইমন হ্যাক ও কাউন্ট্রি ম্যানেজার নিরোদ শর্মা বিষয়টি চাক্ষুষ করতে রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য হিসেবে আলু আজ সব দেশেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ত্রিপুরায় বর্তমানে ২৩ হাজার ৭৪৫ জন আলুচাষি ৭,৬২২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করছেন। আগে ত্রিপুরায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে দেশীয় বীজ এনে এবং পরবর্তী সময়ে টি.পি.এস.-এর মাধ্যমে আলু চাষ করা হতো। কিন্তু উৎপাদন আশাব্যঞ্জক ছিল না। রাজ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে পেরুর এপিক্যাল রুট কাটিং পদ্ধতিতে চাষ করে আলু চাষে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে। ২০২৯-৩০ অর্থবছরের মধ্যে শুধু আলু উৎপাদনেই নয়, আলু বীজ উৎপাদনেও রাজ্য স্বনির্ভর হয়ে যাবে বলে কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আগামী বছরের মে জুন মাসে রাজ্যের একটি প্রতিনিধিদল পেরু যাবে। তিনি জানান, এপিক্যাল রুট কাটিং পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজ্যে আলু চাষের জন্য ১০৪ জনকে আলু বীজ দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪২০

জনকে আলু বীজ দেওয়া হয় এবং চলতি অর্থবর্ষে দেওয়া হবে ৪ হাজার জনকে। সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস এবং দপ্তরের উপ-অধিকর্তা ড. রাজীব ঘোষও উপস্থিত ছিলেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twelve + 1 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য