বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের কাছে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলির মহত্ব-অপরিসীম ।তাদের কাছে এই অনুষ্ঠানগুলি তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে ।মঙ্গলবার যোগেন্দ্রনগর এর বনকুমারী নাট মন্দিরে মঙ্গলকাব্য ও পুথি পাঁচালী পাঠ উৎসবের উদ্বোধন করে এই কথা বলেন মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার। মঙ্গলকাব্য ও পুঁথি পাঁচালী পাঠ উৎসবকে কেন্দ্র করে বনকুমারি নাথ মন্দিরে অংশগ্রহণকারী দলগুলির মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ছিল লক্ষণীয়।
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রাজধানীর যোগেন্দ্রনগর স্থিত বনকুমারি নাটমন্দিরে মঙ্গলকাব্য ও পুঁথি পাঁচালী পাঠ উৎসবের আয়োজন করা হয়। আগরতলা পৌরনিগম এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, আগরতলা পৌর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত ,জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ অধিকর্তা মনোজ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা ।এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন ,আগে রাজ্যে এই ধরনের সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের পরিমণ্ডল ছিল না ।২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তনের পর যার যার কর্ম করার মত একটা পরিবেশ পরীমন্ডল রাজ্যে গড়ে উঠেছে ।এখন শিল্পীরা তাদের প্রতিভা এবং মেধা প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন। মেয়র আরো জানান ,রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মুক্ত মঞ্চগুলিতে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান গুলিতে এখন জাত পাত ধর্ম বর্ণ এবং রাজনীতির রং দেখা হয় না ।তিনি আরো জানান, বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের কাছে এই ধরনের পুঁথি পাঁচালী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরা প্রয়োজন ।এই কাজ আমাদের দায়িত্ব সহকারে পালন করতে হবে।
এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলারা দলবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ছিল লক্ষণীয়।