শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসা যায়। যত বেশি জ্ঞান অর্জন করা যাবে তত বেশি নিজেকে সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় জীবন থেকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজের জন্য ভালো কিছু করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অল ত্রিপুরা এন.জি.ও. বোর্ডিং ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং অল ত্রিপুরা এন.জি.ও. বোর্ডিং ডেভেলপমেন্ট কমিটির যৌথ উদ্যোগে টি.বি.এস.ই. এবং সি.বি.এস.ই. বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বোর্ডিং হাউসগুলির জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী জনজাতিদের সার্বিক কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছেন। রাজ্য সরকারও রাজ্যের জনজাতিদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। রাজ্যের জনজাতিদের শিক্ষা, সংস্কৃতির বিকাশে প্রয়োজনীয় অর্থও ব্যয় করা হচ্ছে। জনজাতিদের হোস্টলগুলির উন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রতি বছর অর্থ বরাদ্দ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের হোস্টেলের জন্য ২৩ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনজাতিদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান চালু করা হয়েছে। রাজ্যেও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এই অভিযানের মাধ্যমে নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে জনজাতি এলাকায় ২০টি নতুন হোস্টেল নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জনজাতি এলাকাগুলিতে শিক্ষার পরিকাঠামো, পানীয়জল, স্বাস্থ্য, মৎস্যচাষ, কৃষি, বন, ইত্যাদি ক্ষেত্রের উন্নয়নে রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোনও জাতিরই উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মানোন্নয়নে স্কলারশিপ প্রদান সহ নানা কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অল ত্রিপুরা এন.জি.ও. বোর্ডিং ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি তপতী কলই, সম্পাদক বিমল দেববর্মা, বিশিষ্ট সমাজসেবী বিপিন দেববর্মা প্রমুখ।