রাজ্য সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ত্রিপুরা স্টেট অর্গানিক ফায়ার্মিং ডেভেলপমেন্ট এজেন্সীর উদ্যোগে আয়োজিত এই মিট হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনী ভূষণ জমাতিয়া, উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা দীপক কুমার দাস, ত্রিপুরা স্টেট অর্গানিক ফায়ার্মিং ডেভেলপমেন্ট এজেন্সীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব দেববর্মা, এগ্রিকালচারাল এন্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তথা আপিডা এর ডিজিএম বিদ্যুত প্রমুখ।
এই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অর্গানিক কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনকারী কৃষকরা এবং রাজ্য ও বহিঃরাজ্যের ও বিদেশের ক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের অর্গানিক উৎপাদকরাও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষ শুধু খাবারের চাহিদা করছে না। বেশিরভাগ মানুষ ভালো রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর খাবার চাইছে। এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব অর্গানিক খাদ্যশস্যের মাধ্যমে। ত্রিপুরা রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে অর্গানিক খাদ্যশস্য জন্মগতভাবে উৎপাদিত হয়। দিন দিন অর্গানিক খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে অর্গানিক চাষে যাতে উৎসাহিত হয় এই জন্য কাজ করছে। অর্গানিক এর পাশাপাশি আগামী দিনে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতিও আসছে তাই সরকার প্রাকৃতিক কৃষিকে রাজ্যের বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে। রাজ্যের কৃষক এবং দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের যাতে সুবিধা হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখে ক্রেতা বিক্রেতা মিটের আয়োজন করা হয়েছে প্রথমবার তবে আগামী দিনে এই ধরনের মিট আরো বেশি করে করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বিরতি হয় এবং দ্বিতীয় আর্ধে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে ক্রেতা বিক্রেতারা অভিমত ব্যক্ত করেন।