Saturday, October 19, 2024
বাড়িখবররাজ্যবইমেলার দশম দিনে ১৮ টি বইয়ের মলাট উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন তথ্য ও...

বইমেলার দশম দিনে ১৮ টি বইয়ের মলাট উন্মোচন অনুষ্ঠানে ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

দেশ ও সমাজ আদর্শ , চিন্তাধারা , মতবাদ ও দর্শনের উপর বেঁচে থাকে দেশ ও সমাজ আদর্শ , চিন্তাধারা , মতবাদ ও দর্শনের উপর বেঁচে থাকে । বইমেলার মাধ্যমে এগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব । তাই বইমেলা হলো প্রাণের মেলা মননের মেলা । হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ৪০ তম আগরতলা বইমেলার দশম দিনে সুবোধ দেববর্মা মঞ্চে মৌমিতা প্রকাশনীর গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিদের হাত ধরে আজ ড . আর বালাশংকরের লিখিত এবং স্মৃতিকুমার সরকারের বাংলা অনুবাদিত ‘ নরেন্দ্র মোদী , ভাঙ্গাগড়ার নায়ক নবভারতের রূপকার ‘ এবং ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড . উৎপল বিশ্বাসের রচিত ‘ ত্রিপুরাকে লোক সংগীত কা বিবেচনাত্মক অধ্যয়ন ‘ এই দুটি বইয়ের মলাট উন্মোচন করেন । তাছাড়াও এদিন মৌমিতা প্রকাশনীর ১৮ টি বিভিন্ন বইয়েরও মলাট উন্মোচন করা হয় । অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন , রাজ্য সরকার এবারের বইমেলাকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বইমেলার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং নতুন পুরানের সংমিশ্রণে এবারের বইমেলার আয়োজন এদিক দিয়ে অনেকটাই সফল । এজন্য তিনি তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সকল স্তরের কর্মচারীদের অভিনন্দন জানান । তিনি বলেন , বইমেলাকে আগরতলার বুকে আটকে না রেখে শহরের বর্ধিত এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে । কারণ বইমেলাকে ঘিরে আগের তুলনায় জনউন্মাদনা , জনসমাগমের সাথে সাথে বইয়ের স্টলের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে । তাছাড়া এই হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে স্থায়ী স্টলের ব্যবস্থা । যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকাশক এবং বই বিক্রেতাদের কোনও অসুবিধা হয় না । বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী শ্রীচৌধুরী বলেন , ভালো কিছু করার মানসিকতা নিয়ে সব সময় এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন । আর এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে এই বইমেলার আয়োজন । এই মেলা রাজ্যের আবালবৃদ্ধবণিতার মেলায় পরিণত হয়েছে । তিনি আরও জানান , গতকাল অর্থাৎ ২ এপ্রিল পর্যন্ত ৮০ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে । রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বইকে সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে এবছর থেকে জেলাভিত্তিক বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে । আগামীদিনে মহকুমাভিত্তিক বইমেলা করার প্রচেষ্টা করবে রাজ্য সরকার । তিনি আশা প্রকাশ করেন আজকে যে সকল বইয়ের মলাট উন্মোচন হয়েছে তার মাধ্যমে পাঠকরা উপকৃত হবেন এবং পাঠক সমাজে এই বইগুলি প্রচুর পরিমাণে সমাদৃত হবে । এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা , রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সুব্রত চক্রবর্তী , তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস প্রমুখ । এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক কৃষ্ণধন নাথ ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

3 × three =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য