রাজ্যের ছেলেমেয়েদের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে মেডিক্যাল শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে। এক্ষেত্রে গুণগত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে বর্তমানে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা রাজ্যেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। আজ মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে ভূপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ভৌমিক মেরিট কাম মিনস অ্যাওয়ার্ড, ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও পুরস্কার হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের অসামান্য লড়াই এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির স্বীকৃতি। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার পাশাপাশি মানুষের কল্যাণেও এগিয়ে আসার মনোভাব তৈরি করতে হবে। তবেই মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ার সার্থকতা আসবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুণগত শিক্ষার প্রসারে নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। শিক্ষাকে সমাজের প্রান্তিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের বর্তমান সময়কে অমৃতকাল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই এই সময়কে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতার অগ্রপথিক ভূপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ভৌমিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে পাঠকের কাছে সংবাদ পৌছে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন অকুতোভয় প্রতিভাবান সাংবাদিক। তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরতেন। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করে গেছেন।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দৈনিক সংবাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সঞ্জয় পাল, বিবেকনগরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের সচিব স্বামী শুভকরানন্দ মহারাজ, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. রতন কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংবাদ ট্রাস্টের সদস্য ডা. পার্থপ্রতীম সাহা। অনুষ্ঠানে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ৩৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অনুষ্ঠানের অতিথিগণ তাদের হাতে শংসাপত্র, স্মারক উপহার এবং অর্থরাশির চেক তুলে দেন।