কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উপার্জনের ও আত্মনির্ভর হওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সরকারি সহায়তায় এক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া যাবে। আজ ধর্মনগরে নবনির্মিত উত্তর ত্রিপুরা জেলা ভেটেরিনারী হাসপাতাল ও ভেটেরিনারী মেডিসিন স্টোরের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাগুলি বলেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উত্তর ত্রিপুরা জেলার উপ অধিকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, মৎস্য ও পশুপালন ক্ষেত্রগুলি সব চেয়ে বেশি লাভজনক। রাজ্যে উৎপাদিত মাছ, ডিম, দুধ ও মাংসের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে ভর্তুকির সুযোগও রয়েছে। এই সুযোগ গ্রহণ করে বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হতে পারবে। ন্যাশনাল লাইভস্টক মিশনে ৫০ শতাংশ ভর্তুকির ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্য সরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছে।
প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী আরও বলেন, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, যা গ্রামীণ এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। দপ্তর রাজ্যে দুধ ও ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রাণীপালকদের উৎসাহিত করছে। ফার্ম গড়েতোলার জন্য সহায়তা করছে। দুধের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ফিমেল বাছুর বেশি জন্ম নিচ্ছে। উপকৃত হচ্ছেন প্রাণীপালকরা। পশু ও পাখীর টিকাকরণ সহ পশু চিকিৎসার জন্য প্রতিটি জেলায় পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হচ্ছে। দূরবর্তী এলাকায় পশু চিকিৎসার জন্য মোবাইল ভেটেরিনারী ইউনিট চালু রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রাণীপালক সম্মাননিধি প্রকল্পে রাজ্যের ৫ হাজার প্রাণীপালককে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার একটি প্রকল্প রাজ্যে চালু করা হয়েছে। দুর্ঘটনাজনিত কারণে পশুর মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বলেন, রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের সুফল সর্বস্তরের মানুষ গ্রহণ করতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে দেশের প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রতা থেকে মুক্ত হয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের অধিকর্তা ড. নীরজ কুমার চঞ্চল, অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক চাঁন্দনী চন্দ্রন, ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালী রাণী দাস সেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, জেলা ভেটেরিনারী মেডিসিন স্টোর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা এবং জেলা ভেটেরিনারী হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।