রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির হার বৃদ্ধি করা হলো ।এখন থেকে প্রাপ্তবয়স্ক চা বাগান শ্রমিকরা দৈনিক ২০৪ টাকা করে মজুরি পাবেন। অপরদিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক চা বাগান শ্রমিকরা দৈনিক 102 টাকা করে মজুরি পাবেন ।শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান মন্ত্রী টিংকু রায়।
রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে ।প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক উভয় অংশের বাগান শ্রমিকদের জন্যই ১৬ শতাংশ হারে এই মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে ।শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় ।সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী জানান ,চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরির হাড় বৃদ্ধির দাবি ছিল ।এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দশ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সভানেত্রী হয়েছেন বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল ।এই কমিটিকে ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধনের সাথে সম্পর্কিত সকল ধরনের কাজের সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল। সেই অনুসারে গত ২৮ মে কমিটির সদস্যদের মধ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় ত্রিপুরা চা উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সমীর রঞ্জন ঘোষ ,আমন্ত্রিত সদস্য সঞ্জয় বাগচী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় এই কমিটি সার্বিক দিক দিয়ে বিবেচনা করে রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকদের স্বার্থে ন্যূনতম মজুরির হার ১৬% বৃদ্ধি করার সুপারিশ করে ।কমিটির সুপারিশ মত এখন থেকে রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্ক চা বাগান শ্রমিকরা ২০৪ টাকা করে দৈনিক মজুরি পাবেন ।অপ্রাপ্ত বয়স্ক চা বাগান শ্রমিকরা পাবেন ১০২ টাকা করে দৈনিক মজুরি। মন্ত্রী আরো জানান ,রাজ্য সরকার উক্ত কমিটির সুপারিশ মূলে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির অনুমোদন প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে রাজ্যের চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি ১০৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৭৬ টাকা করা হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের মজুরি ৫২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ৮৮ টাকা করা হয়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল ,রাজ্য চা উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সমিরঞ্জন ঘোষ প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন।