এই দিনের রক্তদান অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার,তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পদ্মশ্রী অরুণোদয় সাহা,রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শুভকামানন্দ মহারাজ সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত গত বছর ধরে সাংবাদিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ১০% করে ছাড় দিয়ে আসছে টেরেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আজকের এই রক্তদান শিবিরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার অচিন্ত্য ভট্টাচার্য পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ কে সামনে রেখে ঘোষণা করেন আগামী এক বছর সেনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা টেরেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষায় ১০ শতাংশ করে ছাড় পাবে।
রক্তদান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বামী শুভকামানন্দ মহারাজ বলেন, রক্তের বিকল্প এখনো আসেনি সে জন্য রক্তদান হচ্ছে মানব ধর্মের শ্রেষ্ঠ দান। জাতি ধর্ম বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে এক ফোটা রক্ত মানুষের জীবন বাঁচায়। স্বার্থ বোধের উপর উঠে কিছু দান করলে ভগবানের বিশেষ আশীষ থাকে। স্বার্থ বোধের উপরে উঠে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বানও রাখেন তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পদ্মশ্রী অরুণোদয় সাহা টেরেসা ডাইগোনেস্টিক সেন্টারের ব্যবসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এবং সকলকে সরকারি চাকরির জন্য বসে না থেকে ছোট হলেও ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান রাখেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, রক্তদান রক্তের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। যারা আজ রক্তদান করছেন তারা সমাজের জীবনের শ্রেষ্ঠ মানব ধর্ম পালন করছেন। ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলি দায়িত্ব নিয়ে সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার কাজ করা উচিত। কারণ তাদের রিপোর্টের উপরে নির্ভর করে রোগীদের সুস্থতা । টেরেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সুনামের সঙ্গে এই কাজটি করে চলেছে সেজন্য তাদের আরো উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
পাশাপাশি এ ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করে থাকে।দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এ ধরনের যৌথ উদ্যোগে ব্যবসাটিকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে দুজন কর্ণধারকেই তিনি ধন্যবাদ জানান।