১৩৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজধানী আগরতলার গুর্খা বস্তি এলাকায় ১৭তলা উঁচু দালান নির্মাণের কাজ চলছে। সরকারি এই দালান ভবনটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের অধিকর তাদের অফিসগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আবার কিছু কিছু অফিসের বিল্ডিং গুলি বেশ পুরাতন হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন অফিসের কর্ম পরিষদ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বর্তমানে যে অফিস বিল্ডিং বরাদ্দ করা হয়েছে এগুলোতে স্থান সংকুলন হচ্ছে না। এই সকল বিষয় চিন্তা করে রাজ্য সরকার রাজধানীর গুর্খাবস্তি এলাকায় ১৭ তলা বিশিষ্ট সুচ দালান বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এই বিল্ডিংটি নির্মাণ হলে এক ছাদের তলায় চলে আসবে প্রায় প্রতিটি দপ্তরের অধিকর্তাদের অফিস। এর ফলে একদিকে যেমন কাজে গতি আসবে, সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা নির্মীয়মান এই বিল্ডিংটি পরিদর্শন করেন। এই সময় বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকরা সরে জমিনে এবং মানচিত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক দালানের কোথায় কি থাকবে তা বুঝিয়ে দেখান মুখ্যমন্ত্রীকে। পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ত্রিপুরা রাজ্য সর্বোচ্চ ভূমিকম্প প্রবন এলাকাগুলির মধ্যে একটি। তাই নতুন যে ১৭ তল উঁচু দালান নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে তাতে ভূমিকম্পরুধী অগ্নি রুধী সহ নিরাপত্তা সকল ব্যবস্থা গুরুত্ব সহকারে রাখা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া শহরের আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ভবনের নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা। ত্রিপুরার মধ্যে সর্বোচ্চ প্রথম দালান হবে। এই দালানটিতে চারটি লিফ্ট, ৪০০ আসন বিশিষ্ট সভা কক্ষ, সহ আরো অনেক সুবিধা থাকবে। পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি চিন্তা করে এই বিল্ডিং এর বিভিন্ন তলায় নানা কাজে যে জল ব্যবহার করা হবে এগুলোকে রিসাইকেল করে বাগান পরিচর্যার কাজে লাগানো হবে। সব মিলিয়ে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের কাছে নতুন এক মাইলফলক হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে দালান নির্মাণের জন্য।