পণ্য ও পরিষেবা কর -এর প্রয়োগ আমাদের দেশের এক ঐতিহাসিক সংস্কার, যা কর ব্যবস্থাকে সরলীকৃত করেছে, ব্যবসার আস্থা বৃদ্ধি করেছে এবং সমগ্র দেশে পণ্য ও পরিষেবার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। তবে, জিএসটি তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারে তখনই যখন করদাতা এবং প্রশাসনের মধ্যে সচেতনতা ও সহযোগিতা থাকবে। এই লক্ষ্যে, কর সংস্থা ‘জাগরুকতা অভিযান’ শীর্ষক এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে-যার উদ্দেশ্য করদাতাদের শিক্ষা, ক্ষমতায়ন এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, যাতে কর প্রদান আরও সহজ এবং প্রবাহমান হয়।এই মহতী কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহা, মাননীয় অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়, মুখ্য সচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহা, আই এ এস, অর্থ সচিব অপূর্ব রায়, আইএএস এবং রাজ্যের প্রতিটি জেলার বিশিষ্ট করদাতাগণ।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন দেশের ও রাজ্য সরকার যা কিছু করছে দেশের জনগনের জন্য করছেন। কেউ যদি কর ফাঁকি দেয় তাহলে তার আইনত শাস্তি হওয়া দরকার। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন যারা ব্যবসা করবে কর দেবেন না তা অসম্ভব ব্যাপার, এই কারণেই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। জনগণকে তা মানতে হবে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্য হবেন এবং সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থা থাকলেও, সচেতনতার মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব। এই পরিবর্তন আনতে নাগরিকদের মধ্যে কর প্রদানের গুরুত্ব নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, কর সংগ্রহের মাধ্যমে সরকারের কাছে অর্থ গঠন বৃদ্ধি পাবে যা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। কেননা বর্তমানে, রাজ্য সরকার বিভিন্ন ই-গভর্নেন্স প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কর প্রদান প্রক্রিয়াকে সহজতর করার চেষ্টা করছে। এর ফলে, করদাতারা ঘরে বসেই সহজে এবং স্বচ্ছভাবে কর জমা দিতে পারবেন, যাতে তাদের সময় ও শ্রমের সাশ্রয় হয়। এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে পণ্য ও পরিষেবা করের ওপর আরও অধিক প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করা হবে। এই শিবিরগুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে, যাতে তারা নিজেরাই সঠিকভাবে কর প্রদান করতে পারে এবং কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হয়।
তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব যে আমরা কর প্রদান করি এবং দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে অংশগ্রহণ করি। কারণ, একটি সুস্থ এবং সমৃদ্ধ দেশ নির্মাণে কর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।” এই প্রচেষ্টা লক্ষ্যে, রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা থেকে করদাতারা এই উদ্যোগে যুক্ত হয়ে নিজেদের অবদান রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, আশা করা যায় যে, আমাদের রাজ্য এবং দেশ উভয়ই আরও উন্নতির শিখরে পৌঁছবে।