Sunday, February 23, 2025
বাড়িখবররাজ্যমাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছেঃ মৎস্যমন্ত্রী

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছেঃ মৎস্যমন্ত্রী

রাজ্যবাসীর মাছের চাহিদা পূরণে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে মৎস্য দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের মৎস্য চাষিদের আর্থিক সহ নানা সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে। আজ পূর্বাশা প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা মৎস্য উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধন করে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। মৎস্য দপ্তর আয়োজিত দুদিনব্যাপী এই মৎস্য উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মৎস্যচাষিগণ, মৎস্য সমবায় সংস্থা, ফিসারিজ ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস আরও বলেন, এবছর তৃতীয় বারের মতো রাজ্যভিত্তিক এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মৎস্যচাষিদের আরও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এবছর থেকে জেলাভিত্তিক মৎস্য উৎসবও শুরু করা হয়েছে যা ইতিমধ্যেই ৮টি জেলাতে আয়োজিত হয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ মাছ খান। তাই রাজ্যের মাছের চাহিদাও দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি। মাছের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে রাজ্যেই মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদা যোজনা এবং রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার মাধ্যমে নতুন পুকুর খনন, নতুন জলাশয় তৈরী সহ মাছ চাষিদের মধ্যে মাছের পোনা, খাদ্য বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য দপ্তর। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মাছ চাষে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মৎস্য দপ্তর নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের কাছে ১০ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ অর্থ পাওয়া গেছে। এছাড়াও রাজ্যে ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্ক তৈরীর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট ১০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রাজ্যে মৎস্য উৎপাদনে রাজ্য সরকার যে আন্তরিক তা এই সমস্ত উদ্যোগের মাধ্যমেই প্রমাণিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মৎস্য দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার বলেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়নে মৎস্য চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রাজ্যের মৎস্যচাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে মৎস্য দপ্তর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবছর ত্রিপুরা মৎস্য উৎসবে ৫০টি স্টল খোলা হয়েছে। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মৎস্যচাষিগণ তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করবেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আইসিএআর’র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট ড. বুরহান ইউ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, প্রাণীসম্পদ ও বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা নীরজ কুমার চঞ্চল, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা জয়ন্ত দে, কর্পোরেটর সম্পা সেন সরকার এবং কর্পোরেটর হিমানী দেববর্মা। অনুষ্ঠানে মৎস্যক্ষেত্রে সফল হয়েছেন এমন কয়েকজনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে মৎস্য ক্ষেত্রে বেস্ট জব প্রোভাইডারের জন্য সিপাহীজলা জেলার কৃষ্ণ দেববর্মা, বেস্ট হাই ভ্যালু ফিস প্রোডাকশনের জন্য সদর মহকুমার সবুজ দেবনাথ, বেস্ট ফিসারিজ কো-অপারেটিভ ঊনকোটি জেলার পেঁচারডহর এমএসএস লিমিটেড, বেস্ট ইমার্জিং ফিস ফার্মার কমলপুরের মৎস্যচাষি সুশান্ত দাস, বেস্ট ইনোভেশন ইন ফার্মিং-র জন্য খোয়াই-র জয়ন্ত বিশ্বাস এবং বেস্ট ফিসারিজ এন্টারপ্রেনার হিসেবে কমলপুরের ফৈয়জ মিঞাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনাস্বরূপ তাদের হাতে শংসাপত্র ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন মৎস্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two × 2 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য