বর্তমানে পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লোক কেউ ব্যবসা আবার কেউ চাকুরির প্রয়োজনে আসছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট সবাইকেই যেখানে থাকবে সেখানকার নীতি নিয়ম মেনেই চলতে হবে। এই প্রশ্নে কেউ যদি বিধি ভঙ্গ আইন অনুযায়ী শাস্তি হতেই পারে। কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে খুনের আসামীর মতো আচরণকে কেউ মেনে নেবেনা। তাই আমেরিকার এই উদ্ধৃত্ব আচরণের সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। শনিবার আমরা বাঙালি আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের মুখুমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন আমরা বাঙালি সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল। এদিন তিনি আরো বলেন যে গত ২০শে জানুয়ারী শপথ গ্রহনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতার প্রত্যাবর্তন করেই অ্যামেরিকার মাননীয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অ্যামেরিকা থেকে নিজ দেশে ফেরৎ পাঠাবার কাজে হাত দিয়েছেন। ভারতবাসী মাত্রই অবগত যে, ভারতের সঙ্গে অ্যামেরিকার ব্যবসা-বানিজ্য সহ ভাল কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। শোনা যায় আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের সম্পর্কও নাকি রয়েছে। এমতাবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বিতরণের নামে ভারতীয়দের হাতকড়া ও পায়ে শেকল দিয়ে জোর করে ভারতে ফেরৎ পাঠানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মানবতা বিরোধী। আমরা বাঙালী ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি অ্যামেরিকার উল্লেখিত ভারতবিদ্বেতা আচরনের তিব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।