অনুমোদনহীন বিদ্যালয়গুলি থেকে কোন ছাত্র বা ছাত্রী নবোদয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে ।বুধবার রবীন্দ্রভবনে আর টি ই আইন ২০০৯ নিয়ে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির অধ্যক্ষদের সাথে এক আলোচনায় এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন এলিমেন্টারি এডুকেশন ডাইরেক্টরেটের অধিকর্তা এন সি শর্মা ।তিনি জানান ,রাজ্যে এখনো কমপক্ষে 50 টির মতন অনুমোদনহীন বিদ্যালয় রয়েছে।
আর টি ই আইন- ২০০৯ সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার রাজ্য সরকারের এলিমেন্টারি এডুকেশন ডাইরেক্টর এর উদ্যোগে রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যালয় সমূহের অধ্যক্ষদের নিয়ে এক সচেতনতা মূলক আলোচনার আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের দুই নম্বর হল ঘরে হয় এই আলোচনা ।আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য সরকারের বিদ্যালয়ে শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা। বক্তব্যে তিনি জানান ,যে সমস্ত এলাকা কে কেন্দ্র করে বেসরকারি স্কুলগুলি গড়ে উঠেছে ,সে সমস্ত এলাকার শিশুদের সংশ্লিষ্ট স্কুলে ভর্তি হতে চাইলে ভর্তি করাতে হবে। অর্থনৈতিক কারণে এই শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে গুলিতে ভর্তি হতে চাইলেও ভর্তি হতে পারে না। এই বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে ।তিনি আরো জানান, বেসরকারি স্কুল গুলির উন্নয়নে সরকার সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে সরকারের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তা আরো জানান, রাজ্যে কমপক্ষে 50 টির মতো বিদ্যালয়ের অনুমোদন নেই ।এই সমস্ত বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা গত বছর নবোদয়, সেন্ট্রাল ও অন্যান্য স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেও ভর্তি হতে পারেনি। কারণ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অনুমোদন নেই। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, এ বছর যদি এই ধরনের কোন অভিযোগ আসে তবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আর টি ই আইন ২০০৯ সালে চালু হয়। আর টি ই আইন শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার প্রদান করে। এই আইনটি ৬ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের জন্য শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে।