Friday, September 20, 2024
বাড়িখবররাজ্যযথাযথ মর্যাদায় রাজ্য উদযাপিত হলো পি এম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

যথাযথ মর্যাদায় রাজ্য উদযাপিত হলো পি এম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান আজ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে আগরতলাতেও উদযাপন করা হয়। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে এ সম্পর্কিত অনুষ্ঠানটি খেজুরবাগানস্থিত ব্যাম্বু অ্যান্ড কেইন ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিসিডিআই) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওয়ার্ধায় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখানো হয়।

বিসিডিআই প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার এবং দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতবর্ষের অর্থনীতির বুনিয়াদকে আরও শক্তিশালী করতে হলে স্থানীয় পণ্যকে গুরুত্ব দিয়ে কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্য উৎপাদনে সহায়তা এবং উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সূচনা করেন।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে ১৮টি বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর কারিগর ও কারুকর্মীদের এই প্রকল্পে আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহারের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি, ব্যবসার জন্য ৫ শতাংশ সুদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের সুবিধা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের উপর কারিগরদের ১৫ হাজার টাকা টুলকিট কেনার জন্য সহায়তা দেওয়া হয়।

সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লক্ষ কারিগর ও কারুশিল্পীর নাম এই প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮ লক্ষ জনকে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের পর ১ লক্ষ ৬০ হাজার জনকে প্রায় ১,৪০০ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৫১,৩০৫ জনের নাম এই প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ১৮,০০০ জনকে দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৬,০০০ জন সফলতার সাথে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। ১,৩০০ জনকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এবং ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে ঋণ প্রদান করে থাকে।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে দক্ষতা বিকাশের জন্য সারা রাজ্যে ২০টিরও বেশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা এবং রাজ্যস্তরে কমিটিও রয়েছে বলে সচিব জানান। অনুষ্ঠান মঞ্চে শেষ পর্যায়ে কয়েকজন সুবিধাভোগীকে ঋণের মঞ্জুরিপত্র ও প্রশিক্ষণের প্রমাণপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক মেঘা জৈন, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিং ও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ডিজিএম ঋতুরাজ কৃষ্ণা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

one × 1 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য