সম্প্রতি ত্রিপুরার রাজ্য জুড়ে যে ভয়াবহ বন্যা হয়ে গেল তাতে মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১জন রাজধানী আগরতলার ইন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা ছিল, তার নাম চিরঞ্জিত দে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বন্যা কবলিত ইন্দ্রনগর এলাকায় সাধারণ মানুষদের উদ্ধার কাজে নেমে সে নিজেই তলিয়ে যায়। শুক্রবার তার দেহ উদ্ধার করেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহির সদস্যরা। মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে রবিবার তার বাড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। এদিন তাঁর বাসভবনে পৌঁছে প্রয়াতের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া এই অপুরনীয় ক্ষতির জন্য নগন্য তবুও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার সহায়তা তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিই। সেই সঙ্গে প্রয়াতের মা ও বাবা দুইজনকেই সামাজিক ভাতার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এবং বসত ঘরটির মেরামতের জন্য জেলা শাসককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মৃত চিরঞ্জিতের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এটা খুব মর্মান্তিক ঘটনা যে মাত্র ৩১ বছর বয়সী চিরঞ্জিত অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই অকালে ঝরে গেল। তার তিন বোন রয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা বাবা। সেই ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগারী সদস্য, সে বেসরকারি সংস্থার গাড়ি চালক ছিল। এই অবস্থায় তিনি তার মা-বাবাকে জানিয়েছেন এবং রাজ্য সরকারের তরফে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। কোন মানুষের মৃত্যু অপূরণীয়, তবে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য সরকার তৎপর রয়েছে বলে জানান। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।