তিনদিন ধরে টানা বর্ষণের জেরে ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের পশ্চিম জেলার আগরতলাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। ফলে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। এদিকে নদীগুলির জল বেড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রসাশনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ । সারা রাজ্যে খোলা হয়েছে ৩৩০টি ত্রান শিবির যেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার লোক। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বন্যার কবলে পড়েছে ফটিকরায় বিধানসভার অন্তর্গত মশাউলী, কাঞ্চনবাড়ি, তরণীনগর,পূর্ব রাতাছড়া,সায়দারপাড় ও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও। বুধবার বন্যা কবলিত এলাকা এবং শরণার্থী শিবির গুলি পরিদর্শন করেন ও সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এলাকার বিধায়ক সুধাংশু দাস।এদিন পরিদর্শন কালে তিনি বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ও বন্যাপীড়িতদের মধ্যে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেন। বন্যা কবলিত বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সেখানকার বন্যা পীড়িতদের সঙ্গে কথা বলেন। বন্যার্তদের মাঝে খাবার,বিশুদ্ধ পানীয় জল ও ওষুধ বিতরণেরও ব্যবস্থা করেন।