প্রতিবছর ধর্মীয় রীতি নীতি মেনে হয় রাজ্যে রাজন্য স্মৃতি বিজড়িত কের পূজা। খারচির সাত দিন পরে মঙ্গল কিংবা শনিবার হয় ঐতিহ্যবাহী কের পূজা। রাজধানীর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে হয় কের পূজা প্রতি বছর। এবছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দুর্গাবাড়ির পুরোহিত জানান,শুক্রবার রাত্র দশটা থেকে লেগেছে কের।শনিবার দিনভর পূজার পর রবিবার সকালে ছাড়বে কের। তিনি জানান সুখ- শান্তি,ত্রিপুরা বাসীর মঙ্গল কামনার জন্য এই পূজার প্রচলন। কের শব্দের অর্থ হলো সীমানা। সীমানা নির্ধারিত করে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ চত্বরে করা হয় কের পূজা। কের পূজা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বাহ্যিক আগ্রাসী শক্তির হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য অভিভাবক দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রণাম হিসেবে পালিত হয়। এতে দেবতার উদ্দেশে বিভিন্ন বলি ও নৈবেদ্য প্রদান করা হয়। ত্রিপুরার রাজবংশের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হলো কের পূজা। শ্রাবন মাসের শুক্লা পঞ্চমীতে হয় পূজা। হিন্দু ধর্মের দেব-দেবীর পূজায় যে সব আচার-উপাচার দেখা যায়, তা কের পূজায় দেখা যায় না।দেব-দেবীর কোনরকম মূর্তি নেই এই পূজায়। আচার-অনুষ্ঠানের পুরোহিত এবং যার নির্দেশে এই পূজা সম্পাদিত হয় তার নাম চন্তাই।