জাতি-জনজাতি সকল অংশের মানুষের মেলবন্ধন ঘটে খারচি উৎসবে। সৌভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। খারচি উৎসবের জন্য রাজ্যের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন।খয়েরপুর চতুর্দশ দেবতাবাড়িতে খারচি উৎসব ও প্রদর্শনীর সূচনা করে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, ভারতের কৃষ্টি সংস্কৃতি অনেক পুরনো। আমাদের ঐতিহ্য পরম্পরাগত এই কৃষ্টি সংস্কৃতি।মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এদিন ঐতিহ্যবাহী খারচি উৎসবের পাশাপাশি প্রদর্শনীর সূচনা করেন। সেখানে রয়েছে সরকারি স্টলও। এবছরের খারচি উৎসবের থিমের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজারা প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা ও পূজা করতেন। সম্প্রতি বন দপ্তরের তরফে রাজ্যে ৫ মিনিটে ৫ লাখ চারা গাছ রোপণের বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এছাড়াও পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিত শীল সহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,পরম্পরা বাঁচিয়ে রাখা যাবে যদি আগামী প্রজন্মের কাছে পুরো ইতিহাস তুলে ধরা যায়। তিনি বলেন, জাতি-জনজাতি সকল অংশের মানুষের মেলবন্ধন ঘটে খারচি উৎসবে। সৌভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। খারচি উৎসবের প্রথম দিনেই সকাল থেকে লোকজন মন্দিরে পূজা দিতে ভিড় জমান। সাতদিন ব্যাপী মেলায় থাকবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানও।