গোটা বিশ্ব এবং সমগ্র দেশের সাথে সোমবার রাজ্যেও উদযাপিত হলো ঈদ উল আযাহ তথা কুরবানী ঈদ। এই উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি মসজিদে এদিন নামাজ পড়তে ভিড় জমান মুসলিম ধর্মাবলম্বীর জনগণ ।রাজধানী আগরতলায় এই উপলক্ষে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় শিবনগরের গেদু মিয়ার মসজিদ প্রাঙ্গনে।ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয় উৎসব হল ঈদ উল আজহা। এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আযহা মূলত ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফযরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাক্বাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে। সমগ্র বিশ্ব ও সারা দেশের সাথে রাজ্যেও সোমবার যথাযথভাবে ঈদ উল আযহা উদযাপিত হয় ।এই উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি মসজিদে এদিন ঈদের নামাজ পড়া হয়। রাজধানী আগরতলায় ঈদ-উল-আজাহার মূল নামাজ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় শিবনগরের গেদু মিয়ার মসজিদ প্রাঙ্গনে ।এদিন সকালে প্রচুর সংখ্যক মুসলিম ধর্মাবলম্বী জনগণ ঈদের নামাজ পড়তে গেদমিয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে সমবেত হন।ঈদ-উল-আযহা প্রসঙ্গে গেদু মিয়া মসজিদের ইমাম জানান, মূলত ত্যাগের মধ্য দিয়ে সৎ মানুষ হওয়ার অনুশীলন হলো এই ঈদ উল আযহা ।ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সকল রাজ্যবাসী এবং দেশবাসীর সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন তিনি।এদিন ঈদের নামাজ পাঠ শেষে গেদমিয়া মসজিদে উপস্থিত সকলেই একে অন্যকে আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে ঈদের খুশি ভাগ করে নেন । নামাজ পাঠে কচিকাঁচা শিশুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।