যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ ত্রিপুরা রাজ্য মিউজিয়াম, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গনে বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকরের ৬৮ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়। তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংবিধান প্রনেতা ড. আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা ও অধিকর্তা অসীম সাহা, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, পূর্ত দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার বিমল দাস, সদর মহকুমা শাসক অরূপ দেব, বিভিন্ন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের ছাত্রছাত্রীগণ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার বিশিষ্টজন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, ভারতরত্ন ও সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকর সারাজীবন দেশের দলিত, অবহেলিত ও পিছিয়েপড়া মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে লেখক, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও বহুমুখী প্রতিভার আধিকারী। দেশের পশ্চাদপদ শ্রেণি ও দলিত মানুষের কল্যাণে তিনি যে কাজ করে গেছেন সেটা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ড. আম্বেদকরের চিন্তাধারা, মত ও পথ ধরে এগিয়ে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের পশ্চাদপদ শ্রেণি ও সমাজের অন্তিম ব্যক্তির আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরও রাজ্যের তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ড. আম্বেদকর জীবনের নানা ঘাত, প্রতিঘাত অতিক্রম করে যেভাবে এগিয়ে গেছেন তা অনুকরণীয়। বর্তমান প্রজন্মকে তা অনুসরণ করতে হবে। আগামীদিনের জন্য তিনি আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন তার বাস্তবায়নে আজ আমাদের শপথ নিতে হবে। অনুষ্ঠানে শচীন দেববর্মণ স্মৃতি সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীগণ ভজন পরিবেশন করেন।