বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের কাছে অভিযোগ জানানোর পরই পিস্তল নিয়ে আক্রমণ করলো বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই ঘটনায় পশ্চিম থানায় অভিযোগ জমা করেন বর্ডার গোলচক্কর এলাকার বিজেপির স্থানীয় নেতা কৃষ্ণগোপাল আচার্য। পুলিশ অভিযোগ পেয়েও পিস্তলবাজদের গ্রেফতার করতে বের হয়নি। পিস্তলবাজদের নামের তালিকা থানায় জমা পড়েছে। তারা হল- বিজন দাস, সুনীল দাস, অমল দাস, সুধাংশু দাস, বিমল দেবনাথ এবং অর্ঘ্যজিৎ দাস ওরফে তীর্থ। তাদের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়েছেন বর্ডার গোলচক্করের সৃষ্টি ক্লাব এলাকার বাসিন্দা মুজালক মিয়া এবং তার স্ত্রী সামসুর নাহার। দু’জনকে নিয়ে থানায় যান সৃষ্টি. ক্লাব এলাকার বিজেপি নেতা কৃষ্ণ গোপাল। তিনি জানিয়েছেন, এলাকার কয়েকজন ছেলের হাতে পিস্তল আছে। একজনকে গ্রেফতার করলেই বাকি সব বেরিয়ে আসবে। এই পিস্তলবাজরা দিনের পর দিন বাড়িঘরে হামলা করছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই ছেলেরা এভাবে আক্রমণ করবে তা আগে ভাবতে পারেননি কৃষ্ণগোপাল। তিনি জানান, পিস্তলবাজরা রাহুল মিয়াকে খুন করতে ঘুরছিল। এই অভিযোগ জানাতে তিনি-সহ আক্রান্তরা রামনগরের বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের বাড়ি ছুটে যান। সকালে অভিযোগ জানানোর পর বিধায়ক আশ্বাস দেন তিনি বিষয়টি কে দেখবেন। অথচ বিধায়কের আশ্বাসের পরও হামলা থামেনি। বিজেপি সমর্থকপিস্তলবাজরা না বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামলা করে মুজালক-সহ এলাকার আরও দুই বাড়িতে। কৃষ্ণগোপাল জানান, পিস্তল নিয়ে অভিযুক্তরা মুজালকের ছেলে রাহুলকে খুন করতে এসেছিল। রাহুল তখন বটতলায় ছিলেন। খালি বাড়িতে ঢুকে রাহুলের বাবা এবং মাকে পিস্তলের – বাট দিয়ে আঘাত করে। এই ঘটনায় অভিযোগ জানাতে পশ্চিম থানায় এলেও অভিযুক্তদের নাম শুনে পুলিশ গ্রেফতার অভিযানে নামেনি। আগরতলায় এমনিতেও পিস্তলে ছেয়ে গেছে। কয়েকদিন পরপরই পিস্তল হামলার ঘটনা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এইসব ঘটনায় পিস্তলবাজদের দ্রুত গ্রেফতারের উদ্যোগে নিচ্ছে না। বিজেপি নেতা কৃষ্ণ গোপালের দাবি, একজন পিস্তলবাজকে ধরলেই বাকিদের সহজেই ধরা যাবে।