বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ফের কঠোর হলো প্রশাসন। কোনো রকম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুক্রবার আগরতলা পুর নিগমে শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর একথা সাফ জানিয়ে দিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। এদিকে রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার বিরুদ্ধেও কড়া সতর্কবার্তা দিলেন মেয়র।রাজধানী আগরতলা শহরের একটি অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট। শহরকে যানজট মুক্ত করতে প্রশাসনের তরফ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও নিট ফল কিন্তু শূন্য। মূলত শহরে ক্রমবর্ধমান যানবাহনের সংখ্যা এবং সেই তুলনায় সরু রাস্তা, পাশাপাশি বেআইনি পার্কিং এর কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। শুক্রবার ফের রাজধানীতে যানজটের সমস্যা সমাধানে আগরতলা পুর নিগমের কনফারেন্স হলে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব, ট্রফিক এসপি মানিক লাল দাসসহ ট্রাফিক ইউনিটের আধিকারিক ও পুর নিগমের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে এক সাক্ষাৎকারে শ্রী মজুমদার বলেন, নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে ব্যবসায়ীরা নিজেদের যানবাহন পার্কিং করে রাখেন। এটা চলতে দেওয়া যাবেনা। সঠিক পার্কিংয়ের স্থানে সকলকে যানবাহন পার্কিং করতে হবে। দুদিন ধরে বেআইনি পার্কিং কিম্বা রাস্তা দখল করে রাখা লাইসেন্সবিহীন বেআইনি ভেন্ডার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাইকিং করা হবে। দুদিন পর থেকেই কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে শহরে বাড়িঘরে কাজের সময় রাস্তার উপর নির্মাণ সামগ্রী রেখে যারা কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধেও সতর্কবার্তা দিয়ে দিলেন মেয়র। তিনি বলেন, দুদিন পর থেকেই এই সকল সামগ্রী রাস্তায় দেখা গেলে তা তুলে নেওয়া হবে।বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে মাইকিং। আর দুদিন পর ফের শুরু হবে শহরকে যানজটমুক্ত করার মিশন। এর ফলে শহরবাসী কবে নাগাদ এই সুফল পাবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ ইতিপূর্বেও প্রশাসনের তরফ থেকে শহরকে যানজট মুক্ত করার নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গেছে।