শুরু হয়েছে উৎসবের মরসুম। রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজা। বাঙালির সেরা পার্বণ দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয় লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য ধন- সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমা তিথিতে পড়ছে লক্ষ্মীপুজো। বিশেষ তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় আরাধনায় মেতে উঠে পরিবারের সবাই। আর একে কেন্দ্র করেই বাজি পটাকা ফাটানোর মধ্য দিয়ে আলোর রোশনার মধ্য দিয়ে তা উদযাপন করা হয়। সেই রীতি বহু কাল ধরেই চলে আসছে। আর একে কেন্দ্র করেই বাজারেও বাজি পটাকার সম্ভার নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরাও। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও হরেকরকম বাজি পটাকা নিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। আগরতলায় বিভিন্ন জায়গায় , বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা বাজি নিয়ে বসেছে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজাকে কেন্দ্র করে। বাজির চাহিদা, কেনা কাটা নিয়ে শুক্রবার ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কোন ব্যবসায়ী জানালেন এ বছর বাজির চাহিদা ভালই। কেনা কাটাও আশাপ্রদ। দামও সাধ্যের মধ্যে। আবার কোন ব্যবসায়ী জানালেন ব্যবসা পূর্বের তুলনায় ভাল নয়। চাহিদা ততটা নেই। দামও একটু বেশী। বাজারে যখন কোজাগরী লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে বাজিকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এ জায়গায় বাজারে কোন কোন জায়গায় দেখা গেল ক্রেতাদের বাজি কেনা কাটায় একটু ভিড় তো কোন জায়গায় প্রায় ফাঁকা। যদিও আশা করা হচ্ছে যত সময় গড়াবে এক্ষেত্রে হয়ত ক্রেতা সাধারনের ভিড় লক্ষ্য করা যাবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরুপ হতে পারে বাজির ব্যবসা। প্রসঙ্গত কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো – ২৮ অক্টোবর শনিবার । সাধারণত সূর্যাস্তের পর বিশেষ পূর্ণিমা তিথিতে হয় এই পুজো । মনে করা হয়, প্রদীপ জ্বালিয়ে যে ঘরে এই পুজো হবে, সেই ঘরেই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষিত হবে। প্রত্যেক মানুষই কামনা করেন, মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ ও কৃপা সব সময় যেন তাঁর পরিবারে থাকে। তাই এই পুজার দিনটি মা লক্ষ্মীর উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়। কোজাগরী উপলক্ষে পোরানো হয় বাজি পটাকা এবং আলোর রোশনায় আলোকিত করা হয় গৃহস্থের অঙ্গন। সব কিছুর মেল বন্ধনে এ বছরও গৃহস্থের ঘরে ঘরে পুজিতা হবেন মা লক্ষ্মী।