কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি হলো রাজ্যের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। কৃষকরা হচ্ছেন অন্নদাতা। রাজ্যের মোট জিডিপির ৪৩ শতাংশ আসে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি থেকে। তাই রাজ্য সরকার কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নং প্রেক্ষাগৃহে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরে বেকার যুবক ও যুবতীদের মধ্যে অফার বন্টন অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মোট ৪০১ জনকে অফার দেওয়া হয়। জেআরবিটি পরীক্ষার মাধ্যমে এই যুবক ও যুবতীদের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরে নিয়োগ করা হয়েছে। এই ৪০১ জন এগ্রি অ্যাসিস্টেন্ট (ত্রিপুরা এগ্রিকালচার ফিল্ড সার্ভিস গ্রেড-৩) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এগ্রি অ্যাসিস্টেন্ট পদে অফার বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে চিরাচরিত প্রথায় চাষাবাদের পরিবর্তে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষাবাদের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষাবাদে অভ্যস্ত করে তুলতে কৃষি কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ৪৬০ জন এগ্রি অ্যাসিস্টেন্ট রয়েছেন। আজ ৪০১ জনকে অফার দেওয়া হলো। অনুষ্ঠানে আজ যারা এগ্রি অ্যাসিস্টেন্ট পদে অফার পেয়েছেন তারা আগামীদিনে রাজ্যের কৃষির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বলে কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। সভ্যতা এখন যন্ত্র নির্ভর। জমি থেকে জলসেচ, বীজ রোপণ থেকে ফসল উৎপাদন সবকিছুই যন্ত্র নির্ভর। তাই কৃষি দপ্তর কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়েও সহায়তা করছে। তাছাড়াও কৃষকদের উন্নত প্রথায় চাষাবাদে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা কৃষি ও কৃষকের আর্থসামাজিক মানউন্নয়নে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কৃষকরা আত্মনির্ভর হলে দেশ ও রাজ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। রাজ্যে খাদ্যশস্যের চাহিদা রয়েছে মোট ৯ লক্ষ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন। চাহিদার নিরিখে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তাই রাজ্যে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর কাজ করছে। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী সহ অতিথিগণ অফার প্রাপকদের হাতে অফারগুলি তুলে দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণীভূষণ জমাতিয়া।